৪১তম বিসিএস

নন-ক্যাডারে সাড়ে তিন হাজার শূন্য পদের তালিকা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম

৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে সাড়ে তিন হাজার শূন্য পদের তালিকা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তালিকাটি সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) পাঠানো হয়েছে। পিএসসি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকাটি যাচাই-বাছাই করছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) আবদুল্লাহ আল মামুন  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের তালিকা এসেছে। সেটা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। শিগগির পদগুলো চূড়ান্ত করা হবে। সেখান থেকে পছন্দের পদ বাছাই করতে প্রার্থীদের সময় দেওয়া হবে। এরপর নিয়োগে সুপারিশ করবে পিএসসি।’

অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পিএসসি শূন্য পদের তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। তালিকা চূড়ান্ত করে সেটি পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সাড়ে তিন হাজারের কিছু বেশি পদের তালিকা রয়েছে। পিএসসি যাচাই করে তালিকা চূড়ান্ত করবে।

এদিকে, ৪১তম বিসিএসের প্রার্থীরা প্রায় ৩ বছর ১০ মাস পর চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন। গত আগস্টে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে নন-ক্যাডারে তালিকাভুক্ত হওয়া ৯ হাজার ৮২১ প্রার্থী এখনো ঝুলে আছেন। একটি বিসিএসের জন্য তাদের চার বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা, করোনার সময়ে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ায় চাকরি প্রার্থীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের অনেকের বয়সও শেষ। ফলে ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা সর্বাধিক পদে নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন।

তবে পিএসসি কর্মকর্তারা বলছেন, শূন্য পদ কত হবে, সেটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঠিক করে। এক্ষেত্রে পিএসসির কিছুই করার থাকে না। পিএসসি চাইলেই বেশি পদে নিয়োগে সুপারিশ করতে পারে না। জনপ্রশাসন যতগুলো পদের তালিকা দেবে, পিএসসি সেগুলোতে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থীকে সুপারিশ করবে, এটাই নিয়ম।

২০২১ সালের ১ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ২১ হাজার ৫৬ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। একই বছরের ২৯ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর। এতে উত্তীর্ণ হন ১৩ হাজার প্রার্থী।

২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি ২০২৩ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়, যা অতীতের যেকোনো বিসিএস পরীক্ষার বিচারে দীর্ঘতম সময়।

আরএস