জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ বাতিলের দাবিতে

পাঁচ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম

‘জাতীয় শিক্ষাক্রম—২০২১’ বাতিলের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট’র উদ্যোগে আগামী চার মাসব্যাপী সারাদেশে পাঁচ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট’র উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে স্বাক্ষর সংগ্রহের সমাবেশ উদ্বোধন ঘোষণা করেন অর্থনীতিবীদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, শিশু ও শিক্ষা রক্ষার আন্দোলনের রাখাল রাহা এবং বাসদ (মার্কসবাদী) দলের সমন্বয়ক মাসুদ রানা।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘স্কুল শিক্ষার ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করি। তাই এই স্থর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাবিশ্বের মধ্যে শিক্ষায় সবচেয়ে কম বরাদ্দ হয় এই দেশে। গণবিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক কিছু প্রতিষ্ঠানের কারণে এমন অবস্থা। আমাদের এই শিক্ষাক্রম অন্য দেশের কারিকুলাম থেকে অনুবাদ করে চালানো হচ্ছে। এই সরকার সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করেছিল যার কোনো মূল্যায়নই তারা করেনি বরং এই পদ্ধতি গাইড নির্ভরতা বাড়িয়েছে। খেলার মাঠ, ল্যাবরেটরি, শিক্ষক—শিক্ষার্থীদের অনুপাত সহ আনুষাঙ্গিক আয়োজন না করে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এই সরকারই এটা বাতিল করবে। মাঝখানে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেক শিক্ষকই এই শিক্ষাক্রম চায় না। কিন্তু তাঁরা ভয়ে বলতে পারছে না। যারা বলতে চায় না, তারা কি করে শিক্ষা দেবে? এগুলো নিয়ে সমালোচনা যৌক্তিক। কিন্তু সরকার কোনো সমালোচনা শুনতে চায় না। কারণ এই সরকার মেয়াদোত্তীর্ণ সরকার। এই সরকার সমালোচনা পছন্দ করে না । তোষামদী পছন্দ করে।’

মো. আজম বলেন, ‘প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার সংকট নিয়ে যারা কাজ করেন , তাদের মধ্যে ছাত্র ফ্রন্ট অগ্রণী। এই শিক্ষাক্রম শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সংকটের মধ্যে নিয়ে যাবে। এটার বাস্তবায়ন অসম্ভব। এটার বাস্তবায়ন শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে পিছিয়ে দেবে এবং উচ্চশিক্ষার জন্য অপ্রস্তুত করে তুলবে।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা জানান, ‘আগামী চার মাসব্যাপী সংগঠনের এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচী চলমান থাকবে। এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচি চলাকালে আমরা বিভিন্ন আলোচনা সভা, মেমিনার এর আয়োজন করবো। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষানুরাগী মানুষসহ সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাবো। সমাজের সর্বস্থরের মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া আমাদের এই আন্দোলন সফল হবে না। এই আন্দোলন সফল করতে ত আমরা সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে যুক্ত হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’

এআরএস