র‍্যাগিংয়ের দায়ে হাবিপ্রবির চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ০৬:৫৫ পিএম

র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) চার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিস্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া আরোও পাঁচ শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ওয়াজেদ ভবনে অর্থনীতি বিভাগের নবাগত ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র‍্যাগ দেয় একই বিভাগের ২২ ব্যাচের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ২৩ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে গত ১৮ ডিসেম্বর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর মূল কমিটির ৪র্থ সভায় র‍্যাগিং এর ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় র‌্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ এর ০৬ ধারা অনুযায়ী মূল কমিটি শাস্তির সুপারিশ করে।

একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামানের অনুমোদনক্রমে অর্থনীতি বিভাগের তৌহিদুল ইসলাম তুরাগ ও সজীব হোসেনকে ২ সেমিস্টার এবং রোকনুজ্জামান চৌধুরী ও অনুপম রায়কে ১ সেমিস্টার করে বহিষ্কার করে প্রশাসন। তারা সবাই ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

একইসাথে ঐ বিভাগের এফ. এন শাবিন, শাহীন আলম, জাহিদ হাসান, শাকির মাহমুদ ও ইয়াসির রহমান শাকিলকে কঠোরভাবে সতর্ক করে প্রশাসন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ বলেন, র‍্যাগিং কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা র‍্যাগিংয়ের সাথে যুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন বলেন, "মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী র‍্যাগিং প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হোক এটা কখনোই কাম্য নয়।

র‍্যাগিং থেকে বিরত থাকতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানাচ্ছি। আমরা অভিভাবকদেরও আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র‍্যাগিংয়ের ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণু নীতিতে রয়েছে।"

বহিষ্কারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৯ টায় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে চার শিক্ষার্থীকে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান বিক্ষুব্ধ কিছু শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে রাত পৌনে বারোটায় অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এইচআর