নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোজাদারদের ইফতারে ছাত্রলীগের ‘মেহমানখানা’

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম

রোজাদারদের ইফতারি করানোর উদ্দেশ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন স্থানে চালু করা হয়েছে ‘ছাত্রলীগের মেহমানখানা’র কার্যক্রম। প্রথম রমজান থেকে শুরু হওয়া সকলের জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজনটি চলবে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।

জানা যায়, প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ জন এখান থেকে ইফতারি সংগ্রহ করতে পারে। ইফতারের প্রায় ১ ঘণ্টা আগে থেকেই মেহমানখানায় আসতে শুরু করেন রোজাদার মুসল্লিরা। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে এই মেহমানখানার মেহমানদারি গ্রহণ করেন নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক, রিকশা ও ভ্যানচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। গত ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মেহমানখানায় এখন পর্যন্ত আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন ৭ শতাধিক মেহমান।  সম্প্রতি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঝামেলার পর ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ  রাখায় গতকাল একদিনেই মেহমানখানার পক্ষ থেকে  ৩০০ জনের জন্য ইফতার আয়োজন করা হয়।

ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক তোতা মিয়া এই মেহমানখানা থেকে তার বৃদ্ধ মা তার জন্য ইফতার সংগ্রহ করেন। তিনি বলেন, মা আমাকে তার জন্যও ইফতারের প্যাকেট নিয়ে যেতে বলেছে। তাই আমি দুটো প্যাকেট নিয়েছি, বাড়িতে গিয়ে মায়ের সাথে ইফতার করবো।

এছাড়া দ্বিতীয় গেটে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আশরাফ জানায়,  আমাদের ৫-৬ জন আনসার প্রতিদিনই মেহমানখানা থেকে খাবার সংগ্রহ করে। সবাই তো এ ধরনের উদ্যোগ নিতে চায় না, এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

ব্যক্তিগত অর্থায়নে দ্বিতীয়বারের মতো অভিনব এমন উদ্যোগটি গ্রহণ করে সকলের প্রশংসায় ভাসছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রিয়েল।

এই কাজে সহযোগিতাকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রাশেদুল ইসলাম রিয়েল আমার সংবাদকে বলেন, এই আয়োজনে আলহামদুলিল্লাহ সকলের খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। ইফতার হাতে পাওয়ার পর কিছু মানুষের মুখের হাসি আমাদের এই কাজে আরো উৎসাহ যোগায়। ‍‍`ছাত্রলীগের মেহমানখানা‍‍` এই নাম দেওয়ার কারণ হচ্ছে এখান থেকে যারা ইফতার নেন তারা সবাই আমাদের মেহমান। সোয়াব এর আশায় পবিত্র রমজান মাসে আমরা রোজাদারদের ইফতার করাচ্ছি । তাই আমাদের মেহমানখানায় আসতে কেউ দ্বিধা বোধ করবেন না। আমি যতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আছি ততদিন আমি এটির আয়োজন করে যাবো। আর আমি যখন থাকবো না আমি আশা রাখবো যারা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবে তারা এটা ধরে রাখবে।

আরএস