রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে ‘নিষেধাজ্ঞা’ নিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণরূপে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আজ বৃহস্পতিবার দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রক্টর অফিস থেকে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে ‘নিষেধাজ্ঞা’ শব্দটি কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।
প্রকৃতপক্ষে, প্রতিদিনই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আসছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কতিপয় রাজনৈতিক সংগঠনের অনুসারীরা পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দু-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতিনীতি লঙ্ঘিত ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে।
পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এরকম অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে, যা কোনোক্রমেই কাম্য নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিনা অনুমতিতে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে রমজান বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করে। সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে এবং হামলায় আইন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
পরে কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছে।
চিঠির শেষে বলা হয়, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না নেওয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
আরএস