ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের সাফল্য

ডিআইইউ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪, ০১:৫০ পিএম

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আইন অনুষদের প্রথম শিক্ষাদান শুরু হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ)। ১৯৯৫ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. এ বি এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদের গুরুত্ব ও সাফল্যের অন্যতম কারণ হলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ ডব্লিউ এম আবদুুল হক একজন আইন অনুষদের অধ্যাপক। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর আইন অনুষদের অধ্যাপক হওয়ায় এখানকার যুগোপযোগী পাঠ্যসূচি এবং শিক্ষাদানে ভিন্ন মাত্রা লাভ করে। আবার বর্তমান বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (এমপি) একজন পেশাগত আইনজীবী। তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা আইনশাস্ত্র সম্পর্কে ভালো জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। 

বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে চার বছর মেয়াদি এলএলবি (সম্মান), এক বছর মেয়াদি এলএলএম (মাস্টার্স), দুই বছর মেয়াদি এলএলএম (মাস্টার্স) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করছে। 

জ্ঞান ও মেধা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বাস্তব ধারণা দেয়ার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে আইন অনুষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় পাঠদানে সীমাবদ্ধ না রেখে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হয়। একজন সফল আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে শিক্ষার্থীরা যেন আইনের জটিল বিষয় মোকাবেলা করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে মুট কোর্ট।

যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আদালতের কার্যধারা, বিভিন্ন ধরনের ড্রাফটিং, অ্যাডভোকেসি ইত্যাদি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বার কাউন্সিল পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ পাস করে আসছে। 

বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসকৃত প্রায় সহস্রাধিক আইনজীবী দেশের বিভিন্ন আদালতে পেশাভুক্ত হয়েছেন। বিচার ও প্রশাসন বিভাগে বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী কর্মরত রয়েছেন।

আইন বিভাগের ৬১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ জামিল আহম্মেদ জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ডিআইইউতে আইন বিভাগে খরচ অনেকটা কম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট থাকায় এর মাধ্যমে আমরা শিখতে পারছি কিভাবে একটি কেস সাজাতে হয়, কিভাবে তথ্য উপস্থাপন করতে হয়। এই সমস্ত বিষয়গুলো আমরা হাতে-কলমে শিখতে পারছি। যা আমাদের দক্ষ আইনজীবী হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ ডব্লিউ এম আবদুুল হক বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এখানে টিউশন ফি কম। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপক ড. এ বি এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী। কিন্তু শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দেই না।’

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (এমপি) বলেন, ‘আইনশাস্ত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানার্জনে এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সব ধরনের শিক্ষা দেয়া হয়। এর ফলে তাদের কর্মজীবনে কোনো সমস্যা হয় না। বরং তারা সফলতা অর্জন করে।’

বিআরইউ