প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন যেখানে পরিপূরক হওয়ার কথা সেখানে এটি যদি বিপরীত হয়ে যায় তবে দেখা দেয় বিপর্যয়। এমনি এক বিপর্যস্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।
দীর্ঘ ৪ বছর ধরে স্বল্পসংখ্যক লোকবল, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, প্রকল্পের মেয়ার বৃদ্ধি, কারিগরি ত্রুটি, এমন নানাবিধ সমস্যায় জর্জড়িত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ। তবে এবার দীর্ঘ আলোচনা এবং সমালোচনার পর অবশেষে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে প্রধান ফটক। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তরের তথ্য মতে জানা যায়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প পাশ হয়। ওই বছরই নভেম্বরে প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ১০৫ কোটি টাকা বাজেটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয় ৷ কিন্তু প্রথম মেয়াদে প্রকল্পের অন্তর্গত ১৪টি টেন্ডারের কাজ অসম্পূর্ণ ছিল।
২০১৮ সালে নতুন করে ২৫৬ কোটি টাকায় পূর্বের প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী পাশ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর এবং প্রকৌশল দপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে বাকী অংশের কাজ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান ফটক এবং উপ-ফটক নির্মাণের জন্য আরডিপিতে ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছিল ২ কোটি ৩৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজী মাহবুবুর রহমান ২ কোটি ১৪ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফটক নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু করোনাসহ বিভিন্ন কারণে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত কাজ বন্ধ ছিল বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তর। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২২সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন, এতদিন নানাবিধ সমস্যার কারণে ফটকের কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে আমরা কাজের শেষ পর্যায়ে এসে গেছি। আর মাত্র সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। যার মধ্যে ফটকের উপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিখানো বাকি আছে এবং ফ্লোর ঢালাইয়ের কাজ বাকি আছে।
কবে নাগাদ কাজ সমাপ্ত হতে পারে এবং ফটক উদ্বোধন হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে আমাদের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপরই আমরা ফটকটি উদ্বোধন করতে পারব।
ইএইচ