দেশের ২৪টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরমধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অন্তর্গত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় বেশ কয়েকটি ডিপার্টমেন্টের সেমিনার লাইব্রেরি কক্ষে পরীক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সব সেমিনার লাইব্রেরিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় আজ। এ সময় সেখানে একেক টেবিলে ১৮ থেকে ২০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছেন বলেও দেখা যায়। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনের হল রুমেও এবার ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
সেমিনার লাইব্রেরিতে পরীক্ষা দেয়া এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সেমিনার কক্ষে তাদের কোন সিট প্ল্যান বসানো হয়নি। শিক্ষকরা যাকে যেখানে বসতে বলেছেন তারা সেখানেই বসে পরীক্ষা দেন। একসাথে এক টেবিলে এতোজন গাদাগাদি করে পরীক্ষা দেয়াতে মনোযোগেও সমস্যা হচ্ছিলো বারবার। আরও বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আসলেও এভাবে পরীক্ষা দেয়ার অভিজ্ঞতা এখানেই প্রথম।
এ নিয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ৫ম তলার হল পরিদর্শক ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ককে প্রশ্ন করতে বলেন।
‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমি ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক। কিন্তু সিট প্ল্যানের জন্য ‘কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটি’ নামে আলাদা একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিই আসন বিন্যাসের ব্যাপারে ভালো বলতে পারবে।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. প্রদীপ দেবনাথ বলেন, আমার অনুষদের প্রতিটি বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতেই পরীক্ষা হয়েছে। এভাবে এক টেবিলে ১৮-২০ জন পরীক্ষা দিলে সেটার স্বচ্ছতা কতটুকু থাকবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এটা কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটিই বলতে পারবে।
কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, এবার আমরা চেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে। সেজন্যই সেমিনার লাইব্রেরি গুলোতেও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এছাড়া এই অল্প সংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য আরেকটা কেন্দ্র ব্যবস্থা করা কঠিন ছিল।
এক টেবিলে ১৮ থেকে ২০ জন একসাথে পরীক্ষা দিলে সেখানে স্বচ্ছতা থাকবে কী না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেখানে আমাদের শিক্ষকেরা দায়িত্বে ছিলেন। তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছেন। এখন যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে পরবর্তীতে এভাবে সেমিনার লাইব্রেরিগুলোতে আমরা আর পরীক্ষা নেব না।
ইএইচ