খুবির বৈশাখী মেলায় মানুষের ঢল

খুবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম

বৈশাখী মেলা শুধু একটি সাধারণ মেলা নয়। এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ঐতিহ্যকে স্মরণে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দক্ষিণ বঙ্গের সব থেকে বড় মেলা ‘বৈশাখী উৎসব’ আয়োজিত হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গের সব থেকে বড় এ বৈশাখী মেলাতে দিনব্যাপী মানুষের ঢল নামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ খুলনা অঞ্চলের সাধারণ মানুষের উপস্থিতি মেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

দিনব্যাপী এ মেলাতে দর্শনার্থীদের জন্য প্রধান আকর্ষণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে তৈরি ২৫টি স্টল।

এসব স্টলে নানা রকমের খাবার, পিঠাপুলি, পোশাক, হস্তশিল্প, সাজ সরঞ্জাম, খেলনা, কাগজের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, রঙ তুলির আঁকা নকশা, নানা রকমের পণ্য সামগ্রী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসসহ শরবত, ঠান্ডা পানীয়, লাচ্ছি, কুলফির ব্যবস্থা ছিল।

এছাড়াও নাগরদোলা এবং রাতে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্লাবের অংশগ্রহণে কনসার্টের আয়োজন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মৃত্তিকা কুটির, বাঙালিয়ানা, সৌন্দর্যে ঊর্ণিষা, খড়ের ঘরসহ বাহারী নামের স্টলগুলোর সৌন্দর্যে সকাল থেকেই খান জাহান হলের মাঠে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মাঠ জনসমাগমে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বয়সের মানুষেরা উৎসবে মেতে উঠে।

অনুভূতি জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, বৈশাখ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সময় পেয়েই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বাচ্চারা এখানে এসে অনেক খুশি। নাগরদোলায় উঠলো বিভিন্ন জিনিস কিনতে পেরেছি সবকিছু মিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে।

করোনা মহামারির পরে  দীর্ঘ ৪ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ আয়োজিত এ মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য জহুরুল তানভীর বলেন, ২০১৯ সালের পর আবারো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিলে আমরা বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছি, যেন আমাদের পুরোনো যেই পহেলা বৈশাখের একটা আমেজ থাকতো সেই আমেজটার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই বাংলা সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে এই সকল উৎসব গুলো শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করে থাকে। আমাদের এই উদযাপনে আমরা বিভিন্ন বাংলা সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা  করেছি।

ইএইচ