অতিরিক্ত মাইগ্রেনের ব্যথায় আত্মহত্যা করলেন চবির সাবেক শিক্ষার্থী

চবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ে পোস্টের পরদিনই আত্মহত্যা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১০-১১ সেশনের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মান্না দে। তিনি গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মরত ছিলেন।

বুধবার গোপালগঞ্জ সদর থানার চন্দ্র দিঘলিয়ার ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে মান্না দে মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‍‍`প্রতিদিন মাথাব্যথা নিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠি আর মাথাব্যথা নিয়ে রাতে ঘুমাতে যাই। প্রতিনিয়ত আশা করতাম হয়তো একদিন ভালো হয়ে যাবো। কিন্তু আমি ব্যর্থ। এভাবে আর চলা যায় না। তাই জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেললাম।‍‍`

মান্না দে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পড়ালেখা শেষ করে তিনি গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে যোগ দেন।

তার সহকর্মী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘মান্না দে মেধাবী ছাত্রনেতা ছিলেন। সরকারি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগ দেন। আজ জানতে পেরেছি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’

মান্না দের জুনিয়র মনসুর আবেদিন জানান, মাইগ্রেনের অতিরিক্ত ব্যথায় অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন মান্না দে দাদা। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি বছর দাদাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, অত্যন্ত অমায়িক ও ঠান্ডা মেজাজের মানুষ ছিলেন তিনি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুরে সংবাদ পেয়ে গোপালগঞ্জ থানার চন্দ্র দিঘলিয়ায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।’

ইএইচ