আশা শিক্ষা কর্মসূচির অভিভাবক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম

আশা শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় আশা ভৈরব- কিশোরগঞ্জ জেলার বানিয়াগ্রাম ব্রাঞ্চ এর আওতাধীন আশা শিক্ষা কর্মসূচির অভিভাবক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ জুন) আশা পাঠদানকেন্দ্র ঘিলাকান্দী শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির অবিভাবকদের নিয়ে এ সভা হয়।

সভার সভাপতিত্ব করেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং আশা পাঠদান কেন্দ্রের মনিটর মো. আনয়ারুল হক এবং সঞ্চালনা করেন উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শারমিন আক্তার। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন আশা কিশোরগঞ্জ (ভৈরব) জেলার ডিস্ট্রিক ম্যানেজার অজয় কুমার দাস। এই কর্মসূচির সার্বিক অত্ত্বাবধানে ছিলেন আশা শিক্ষা অফিসার তামজিদা ইসলাম।

এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ এম নাজমুল হুদা, সভাপতি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, মুহাইমিনুল ইসলাম আরিফ, মাধ্যমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার কটিয়াদী এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশা বানিয়াগ্রাম ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবাস আলী, শিক্ষা সুপারভাইজার সুজন চন্দ্র দাস এবং উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্য এবং আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।

উক্ত সভায় প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন এবং সকলেই অনেক স্বঃতস্ফুর্তভাবে এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। অভিভাবকরা আশা শিক্ষার এই কর্মসূচির উপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ৭ম শ্রেণির অভিভাবক তাসমিয়ার মা শিরিন বেগম আমাদের এই কর্মসূচির কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন যে "যেহেতু পাঠদান কেন্দ্র বিদ্যালয়েই পরিচালিত হয় তাই আমরা মেয়েকে বাইরে দিয়ে অনেক নিশ্চিন্ত থাকতে পারি, কারণ অন্য জায়গায় যখন পড়তে যেতো তখন রাস্তায় কোনো সমস্যা হে কিনা এইগুলো নিয়ে চিন্তায় থাকতাম কিন্তু এখন স্কুলে এই কর্মসূচি চালু হওয়ার কারণে আমরা অনেক নিশ্চিন্ত থাকি।" অনেক অভিভাবক এর মতামত এই যে এখানে শিক্ষার্থীরা আসার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।এবং শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বাসায় পড়তে বসে

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি আশার সার্বিক দিক এবং আশা যে আন্তর্জাতিক ভাবে ও বিভিন্ন কাজ করছে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছেন এছাড়া আশা শিক্ষার কর্মসূচির সার্বিক চিত্র সম্মানিত সকল অতিথিদের সামনে তুলে ধরেছেন। এবং এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং আশার করণীও দিক দিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।

এডুকেশন অফিসার এই কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, আশার ইতিহাস, আশা শিক্ষার ইতিহাস এবং কিশোরগঞ্জ ভৈরব জেলার আশা শিক্ষা কার্যক্রমের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া অভিভাবকরা কেন শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান কেন্দ্র এবং বিদ্যালয়ে পাঠাবেন, পড়াশোনার গুরুত্ব, আশা পাঠদান কেন্দ্রের গুরুত্ব এবং শিক্ষক এবং অভিভাবকের কি করণীয় তা নিয়ে সার্বিক আলোচনা করেছেন।

এছাড়া ও অন্যান্য অতিথিগন আমাদের এই শিক্ষা কর্মসূচি তাদের এলাকার জন্য অনেক প্রয়োজন বলে দাবি জানিয়েছেন এবং এই যে আশা শিক্ষা কার্যক্রম নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সাহায্য সহযোগিতা করছে তাই তারা আশার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।অভিভাবকদের মতামতের উপর গুরুত্ব দিয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নেওয়া হয় এবং তাদের থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে।

আরএস