ববি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ববি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ১১:৫৫ এএম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিফা নূর ইবাদির মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। হলটির প্রভোস্ট ড. হেনা রানী বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১১ জুন) এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. হেনা রানী বিশ্বাস। তদন্ত কমিটির অন্য দু‍‍`জন হলেন হলটির আবাসিক শিক্ষক সুমনা রানী সাহা ও হোসনেআরা ডালিয়া।

তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি ১২ জুন (বুধবার) রাতে নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. হেনা রানী বিশ্বাস বলেন, আমার এই শিক্ষার্থী কেন আত্মহননের পথ বেছে নিলো সেটিই আমরা বের করে আনার চেষ্টা করব। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জেনেছি, দর্শন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং সাম্প্রতিক তাদের প্রেমে জটিলতা চলছিলো। তদন্তে আমরা সব বিষয় নিয়েই খতিয়ে দেখব।  

তিনি আরও বলেন, আমরা ২৫ তারিখে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

গত ১০ জুন (সোমবার) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের রিডিং রুমের করিডোর থেকে শিফা নূর ইবাদির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমানের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেশকিছুদিন যাবৎ তাদের প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা চলছিলো। আত্মহননের দিনে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঝগড়া ও হাতাহাতি করতে দেখা যায়। সর্বশেষ রাত সাড়ে নয়টার দিকে নোমান ও শিফাকে বঙ্গমাতা হলের রাস্তায় একসাথে দেখে শিফার এক বান্ধবী। তখন শিফাকে কান্নারত অবস্থায় হলে ফিরতে দেখে তার বান্ধবী। এর পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আত্মহননের ঘটনাটি ঘটে।

বিআরইউ