কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে এবার মহাসড়কে আন্দোলনে জড়ো হয়েছে চবি শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বর থেকে জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে ১ গেইট সংলগ্ন রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ শোডাউন দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল আহমেদ জানান, `আমরা আজ কোটার বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনে নেমেছি। মেধার জোরে চাকুরি হোক। বাংলাদেশ কোটা মুক্ত হয়ে মেধাবীদের মূল্যায়ন হোক। অন্যায়ের রিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিসর্জন দিয়েছে আমাদের পূর্বপুরুষেরা। তাই আমরাও এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে প্রাণোৎসর্গ করতেও দ্বিধা করবো না।`
তিনি আরও বলেন, `আগামীকাল হাইকোর্ট কর্তৃক কোটার শুনানি হবে। সমগ্র ছাত্রজনতার দাবি, কোটা পুনর্বহালের পক্ষে কোনোভাবেই রায় দেওয়া যাবে না। যদি দেওয়া হয় তাহলে আমাদের এ আন্দোলন দাবানলের মতো জ্বলে উঠবে।`
শোডাউনে শিক্ষার্থীদের কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে, চবির অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায় ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা আগামীকাল সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃহৎ কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং চার দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো :
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২. ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিআরইউ