প্রত্যয় স্কিম এবং অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ও কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির প্রায় ৫ শতাধিক কর্মচারী কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে মাইকে মাইকে বিভিন্ন হল থেকে কর্মচারীদের ডেকে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীরা বেলা ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে এসে অর্থমন্ত্রীর নামে স্লোগান দিয়ে কুশপুত্তলিকাদাহ করেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১২ থেকে ১ টা পর্যন্ত প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন করিডোরে আলাদা আলাদা ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাকৃবি শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করে। এছাড়াও পরিবহণ শাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ রাখে। ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ফেডারেশনের নির্দেশনায় প্রত্যয় স্কীম বাতিল ও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির কর্মচারী সমিতি, কারিগরি সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির উদ্যোগে আমরা নতুন আরেকটি দাবি জানিয়েছি। দাবিটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা শতভাগ ২য় পর্যায়োন্নয়ন পেলেও কর্মচারীরা কেবল ৩৩ শতাংশ এই সুবিধা পেয়ে থাকেন, যা চরম বৈষম্য। কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও ২য় পর্যায়োন্নয়ন শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যয় স্কিম বাতিল করা হলেও আমাদের এই অভ্যন্তরীণ বৈষম্য দূরীকরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই। ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কর্মচারী নিয়োগ না দেওয়ায় ৫ জন কর্মচারির কাজ একজনকে করতে হচ্ছে। ফলে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। নিয়মিত কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলেই সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি পেলেও নিরাপত্তা কর্মীদের একদিন ছুটি কাটাতে পারেন কিন্তু এইজন্যে তাদের আলাদা কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না। পাশাপাশি বেতন কাঠামো ও পােন্নতির ক্ষেত্রে কিছু বৈষম্য ব্যিমান রয়েছে।
এদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এ সময় সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করা হবে।
বিআরইউ