জাবিতে কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

জাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে অন্যায্য আখ্যা দিয়ে তা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’_এর ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন তারা।

এ সময় তারা স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বহাল রাখার তীব্র সমালোচনা করেন ও তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে চাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করছে আর স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার মেধাবীদের যা বৈষম্যমূলক কোটা প্রথার মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নিজেদের অধিকার আদায় ও বৈষম্যমূলক কোটা বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন বন্ধ হবে না।

মানববন্ধনে তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, আজকে একদল ষড়যন্ত্র করে বলতে চায় আমাদের নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নাই, আমরা তাদেরকে বলতে চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো সেটাই যে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্য দূর করার জন্য, আজকে যে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ঢাল করে, সেই বৈষম্যকে আবার এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, এখন যদি ৭১ থাকতো, মুক্তিযুদ্ধ হতো তাহলে আজকে যারা কোটার জন্য লড়ছে তারাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো, আর যারা কোটার জন্য লড়ছে তারাই দেখা যেত রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের দলে যোগ দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই ৭১—এ যারা লড়াই করেছেন তারা বৈষম্য দূর করার জন্য লড়াই করেছেন, এমন কোন যোদ্ধা নেই যিনি এই বৈষম্য দূর করার জন্য যুদ্ধে লড়েছিলেন।

আহ্বায়ক আরিফ সোহেল আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আমরা শনিবার প্রত্যেকটি হলে হলে গিয়ে গণসংযোগ চালাবো। পরদিন রোববার আমরা ঢাকা—আরিচা মহাসড়ক বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অবরোধ করবো। আপনারা ছাত্র ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ক্লাস—পরীক্ষা বর্জন করে দিন। শিক্ষকদের আন্দোলন শেষ করে তারা ক্লাসে ফিরলেও যতদিন না আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া হচ্ছে আমরা সমস্ত ক্লাস—পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না।

ইএইচ