কোটা বিরোধী আন্দোলন

দ্বিতীয় দিনে চলছে শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে সোমবারও (৮ জুলাই) চলছে আন্দোলন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে ‍‍`বাংলা ব্লকেড‍‍` কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।  

রবিবার (৭ জুলাই) শাহবাগ থেকে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীদের দেওয়া তথ্যমতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামোটর মোড়, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল মোড় অবরোধ করবেন। ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত ও সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেবেন।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, অমর একুশে হল এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থীরা চানখারপুল মোড়ে অবস্থান নেবেন। এছাড়া শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের শিক্ষার্থীরা আগারগাঁও সড়কে অবরোধ করবেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে এতদিন ১ম ও ২য় শ্রেণিতে অর্থাৎ ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এবার ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণিসহ সকল গ্রেডে কোটাকে যৌক্তিক পরিমাণে সংস্কারের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।  

শিক্ষার্থীরা জানান, সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা সংস্কার করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। 

আরএস