সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবিতে ফের রেলপথ অবরোধ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার বিকাল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনবাজার সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করেন তারা।
এর আগে, বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
পরে সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনবাজার সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেলপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এতে রাজশাহীর সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ আছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা, `জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে`, `মেধাবীদের কান্না, আরা না আর না`, লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই`, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার খবর দে`, কোটা না মেধা, মেধা মেধা`, আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম`, অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন`, `জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো`, `কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই`, `আমার ভাইয়ের রক্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাই`, ইত্যাদি স্লোগানে চারিদিক মুখরিত হয়ে ওঠে।
আন্দোলনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। এবং সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী বারিউল ইসলাম বলেন বলেন, আগে আমাদের একটা সমন্বয় কমিটি ছিল, সেটা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এখন আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।আমাদের দাবি সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের উপরে কোটা বহাল থাকা যাবে না। এবং এটা সংসদের নির্বাহী বিভাগের আইন পাশ করার মাধ্যমে করতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো সমঝোতা আমরা মেনে নিবো না।
ইএইচ