সারাদেশে কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শেষে নিরীহ ছাত্র-জনতাকে গণগ্রেপ্তার ও জোরপূর্বক বিবৃতি আদায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ছাত্র পরিষদ।
সোমবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক এলাহান কবীর বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ন্যায্য দাবিতে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। তাদের গুলিতে শত শত ছাত্র জনতা নিহত ও আহত হয়েছে। আন্দোলনে দমাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে ক্রাকডাউন করা হয়েছে। কারফিউ জারি করে সাধারণ ছাত্র জনতাকে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি আদায় করা হয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের সোমবারের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নৈতিক সমর্থন জানানো হয়।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে মিন্টো রোডে ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের কাছ থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। সমন্বয়কদের নামে একটি যৌথ লিখিত বিবৃতি গণমাধ্যমে আসে, ওযখানে ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের, সারজিস আলম, নুসরাত তাবাসসুমের স্বাক্ষর দেখা গেছে।
এছাড়া রাতে প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। ওই ভিডিও বার্তায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডিবি কার্যালয়ে থাকা সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের পক্ষ থেকে আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ গণমাধ্যমকর্মীদের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন।
ইএইচ