শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে শাবিপ্রবি শিক্ষকদের কড়া বিবৃতি

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৪, ১১:০৩ এএম

শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গভীর ক্ষোভ, উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম’ও শিক্ষকরা। এসময় সরকারের প্রতি ৬দফা দাবি জানিয়েছেন এই প্যানেলের শিক্ষকরা।

শনিবার (৩ আগষ্ট ) রাত সাড়ে নয়টায় ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরামের’ আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রছাত্রীদের চলমান অহিংস আন্দোলনে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম’ এর শিক্ষকবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

গত ১৬ই জুলাই থেকে অদ্যবধি শত শত ছাত্রছাত্রী হতাহত হয়েছে এবং এ সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। ছাত্রছাত্রীদের সাথে শিক্ষকরাও আহত হচ্ছে। সরকারী বাহিনী নির্বিচারে গত কয়েক দিনে যেভাবে হত্যা, গুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে তা অতীতের সকল স্বৈরাচারকে হার মানিযেছে। আমরা শিক্ষক সমাজ এই নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। ছাত্রছাত্রীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আমাদের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।

এসময় ছয়দফা দাবি পেশ করেন এই প্যানেলের শিক্ষকরা। দাবিগুলো হলো, গ্রেপ্তারকৃত সকল শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের নিঃশর্ত মুক্তি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গুম, খুনসহ সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে, আহত শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণের জনগণের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, শিক্ষকদের বাসায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গোলা বারুদের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে, ছাত্রছাত্রীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

বিআরইউ