চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীরা চবি প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে চাকসু কেন্দ্র থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে চবি প্রশাসনের পদত্যাগের আল্টিমেটাম ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যেসব দাবি পেশ করা হয় সেগুলো হলো, যাদের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে সেই ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডিকে, সকল হল প্রভোস্টদের এবং ভিসি ও প্রো-ভিসি (অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক) কে আজ দুপুর ১২ টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন প্রশাসন নিয়োগের ক্ষেত্রে চিহ্নিত দালাল (সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারের সহযোগী, দুর্নীতিবাজ, অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত)দের পদায়ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আমাদের মতামতের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। গত দুই বছরে অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত (অস্থায়ী) সকল নিয়োগ বাতিল করতে হবে। দ্রুত হল খুলে দিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বারাদ্দ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অনলাইনে ফরম দিতে হবে। পূর্বের সংগৃহীত ফরম বাতিল বলে গণ্য হবে। অছাত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা (তাদের তালিকা আমাদের নিকট সংগৃহীত আছে) আবাসিক হলে থাকতে পারবে না। নতুন প্রশাসনকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল দাবি শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও প্রভোস্টগণের ভূমিকা ছিল। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তাদের দায়িত্ব পালন করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সংযুক্ত থাকা প্রশাসনের কাছে আমরা এই দাবি জানাবো না। তারা এই প্রশাসনে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন। তারা কীসের দাবি পূরণ করবে, যারা কিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না।
ইএইচ