রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চায় ববি শিক্ষার্থীরা

ববি প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

কয়েকটি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চাইলেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চায়। তবে সব রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি চায় না।

রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর দাবি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপরাজনীতি ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে এবং পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করে।

ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল সরাসরি ছাত্ররাজনীতি চাইলেও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপের চালানো পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকা উচিত নয়। মাত্র ২ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকা উচিত।

সারাদেশে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। দৃশ্যমান হয়েছে কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপও। কিন্তু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন কিংবা সংস্কার দেখা যায়নি। এসবের পিছনে শিক্ষার্থীরা অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহিদুল ইসলাম জানান, সমন্বয়কদেরও মধ্যে একটি অংশ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি দাওয়া প্রশাসনের কাছে তুলতে পারছে না।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হাসিব বলেন, শতশত শিক্ষার্থী ও নিরীহ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে আমরা বিজয় ২৪ পেয়েছি। আমরা নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি। এ বিজয় আমরা মলিন হতে দিতে পারি না।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি মো. রেজা শরীফ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু সংস্কারমূলক ছাত্ররাজনীতির পক্ষে। যে ছাত্ররাজনীতি হল দখল করবে না, চাঁদাবাজি করবে না। সর্বোপরি সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায় বিষয়টা কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির নামে যে অপরাজনীতি হয়েছে তার জন্য শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায়। কিন্তু আমরা এই অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সুস্থ ধারার রাজনীতি চালু করতে চাই, আশাকরি সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই। ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীবান্ধব একটি ক্যাম্পাস উপহার দিতে বদ্ধপরিকর। দলীয় লেজুরবৃত্তি রাজনৈতিক সংস্কৃতি ছাত্রশিবির বিশ্বাস করে না। মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা পেলে আজীবন বহিষ্কার এমন আইন প্রণয়ন সাপেক্ষে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করার উদ্দেশ্যে একটি পরিচ্ছন্ন সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে আদর্শ রাজনীতি পরিচালিত হতে পারে।

ইএইচ