ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং উন্নয়ন বরাদ্দে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আর বৈষম্যের শিকার হবে না। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান এখনো শেষ হয়নি, এর বিপ্লব ঘটাতে হবে। আমরা বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা চাই।
শনিবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত দুই মাসে সরকারের প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি মন্ত্রিত্ব উপভোগ করতে আসিনি। যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারলে কিংবা গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে না পারলে, আবার জনতার কাতারে দাঁড়াবো। গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, দেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে শিক্ষার্থীরা রক্ত দিলেও তারা পরবর্তীতে এর সুফল পায়নি। শিক্ষার্থীরা ইতঃপূর্বে দাসত্বের জীবন পেয়েছে। আমরা আর দাসত্বের জীবনে ফিরে যেতে চাই না। সারাদেশে ফ্যাসিস্ট কাঠামো ভেঙ্গে দিতে হবে। লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিদ্রুত ছাত্র সংসদ চালু করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে প্রথম শহীদ বেরোবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের পিতা মো. মকবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শফিকুর রহমান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন মো. ফেরদৌস রহমান, জীব ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. এমদাদুল হক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক, ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম, কাউন্সিল শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. ময়নুল আজাদ, গণিত বিভাগের কর্মচারী রেজাউল করীম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন এবং শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সোহাগ বক্তব্য দেন।
ইএইচ