রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন অনুষদে সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় বর্ষ পদ্ধতি চালুর দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন।
আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে অনশন শুরুর প্রায় দুই ঘণ্টা পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় আইন অনুষদে সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় বর্ষ পদ্ধতি চালুর দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের আশ্বাস পেয়ে অনশন ভেঙে শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা।
এতে ‘আইন বিভাগ’ এবং ‘আইন ও ভূমি প্রশাসন’ বিভাগের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। দুই বিভাগের দুই শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০ জন ছেলে ও ২০ জন মেয়ে মিলে ৪০ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। যতদিন পর্যন্ত না দাবি আদায় হচ্ছে অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘দফা এক দাবি এক, ইয়ারে কামবাক’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, আইন অনুষদ জেগেছে’, ‘সেমিস্টারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে মানতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাহবুব হাসান বলেন, আইন অনুষদের উপর আগের প্রশাসন জোর করে সেমিস্টার পদ্ধতি চাপিয়ে দিয়েছে। আমাদের অনেক বড় একটা পাঠ্যসূচি। সেটা পড়াশোনা করার জন্য সেমিস্টারের তিন-চার মাস যথেষ্ট সময় না।
এছাড়া আমাদের সেমিস্টারে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট শিক্ষক, অবকাঠামো প্রয়োজন। যেটা আমাদের নেই এজন্য সেমিস্টার থেকে বর্ষ পদ্ধতিতে ফিরতে চাচ্ছি। এই দাবি আদায়ের জন্য আজ থেকে আমরা আমরণ অনশনে বসছি। যতদিন পর্যন্ত না আমাদের দাবি আদায় হচ্ছে অনশন চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ডাকব বলে অনশরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি আবারও উত্থাপন করব। তারপর কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাদের দাবির বিষয়ে। এ বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
বিআরইউ