জবি প্রশাসনের বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ, ফেসবুক জুড়ে সমালোচনার ঝড়

জবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৪, ০৮:০১ পিএম

শিক্ষার্থীদের তিন দফা আন্দোলনে জনদুর্ভোগ হতে পারে এমন কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীদেরকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে প্রশাসনের এই বিবৃতিকে ‍‍`দায়সারা‍‍` উল্লেখ করে ফেসবুকে ক্ষোভ জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবৃতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিবৃতিতে দায়সারা উল্লেখ করে ক্ষোভ জানান শিক্ষার্থীরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত তিনটি যৌক্তিক দাবিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিবাচকভাবে দেখে। প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন প্রশাসন প্রয়োজনীয় কাজ করে যাচ্ছে। তবে এ সকল কাজ যৌক্তিকভাবেই কিছুটা সময়সাপেক্ষ। বর্তমান সরকারও আমাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে এবং অন্যান্য বিষয়েও সরকার আন্তরিক। এক্ষেত্রে জনসমর্থনও আমাদের অতীব কাম্য। বিধায়, জনদুর্ভোগ হতে পারে এমন কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীদেরকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হলো। আরো উল্লেখ্য যে, নতুন প্রশাসন প্রকল্প সংক্রান্ত সকল তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত ব্যবধানে প্রকাশ করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এর বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়া ফেসবুকে লেখেন,"বিবৃতি দেওয়া বাদ দিয়ে কাজ করে দেখান শিক্ষার্থীরা বিবৃতি শুনতে চায় না। কাজ দেখতে চায়।"

জিলন ওমর ফারুক ফেসবুকে সমালোচনা করে লেখেন, "৮ বছর ধরে এভাবে মুলা ঝুলানো হয়েছে, প্রশাসনের মুলা ঝুলানিতে এবার আর থামছি না আমরা। জনদুর্ভোগ এর কথা চিন্তা করলে ২৪ এর জুলাই বিপ্লব কখনোই সম্ভব হতোনা।"
আরিয়ান ইসলাম কামরান বলেন, "গত ৬ বছরেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো,ফলাফল আবাসন শূন্য! এসব কথা বলে লাভ নেই, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ফয়সালা রাজপথেই হবে!"

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে আন্দোলনের মুখপাত্র পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন "প্রশাসন কি ঘোষণা দিলো না দিলো এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি।"

আরএস