নদীর দখল ও দূষণ রোধে বাপা সাত দফা দাবি

জবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম

নদীকে নারীদের মতো প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করা হচ্ছে। ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহর গড়ে উঠেছে। বুড়িগঙ্গা বাঁচলে ঢাকার মানুষ বাঁচবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বুড়িগঙ্গা নদীর দখল ও দূষণ রোধে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রাজধানীর চতুর্দিকে বৃত্তাকার নৌপথ চালু করাসহ সাত দফা দাবিতে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় সোয়ারীঘাটে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, রিজওয়ানা আপা নিজেই নদী রক্ষায় একটি করে নদী দূষণমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমাদের দাবি শুধু একটি নয় দেশের সকল নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে। ঢাকার চারিদিকে চক্রাকার নৌপথ চালু করলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে।

এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস।

এ সময় তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী নষ্ট হলে ঢাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়বে। বিগত সরকার গুলো অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু তার বাস্তবায়ন করেনি। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ বুড়িগঙ্গাসহ দেশের সকল নদী রক্ষা করার।

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহাবুব হোসেন বলেন, দুই দশক ধরে আন্দোলন করে আসছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছু হয়ন। যারা এখানে দায়িত্ব আসে তারাই অসদ উপায় অবলম্বন করে। আগে বুড়িগঙ্গার পানি শরীরে লাগলে ময়লা পরিষ্কার হতো আর এখন বুড়িগঙ্গার পানি শরীরে লাগলে নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হয়। এটাকে এখন ময়লার ভাগাড় বলা হয়। তাই এই বুড়িগঙ্গা নদীর রক্ষায় সরকারসহ সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গার প্রাণ নেই। স্বাধীনতার পর গত চার দশকে বুড়িগঙ্গা তিলে তিলে দখল ও দূষণের কবলে পড়ে একটি মৃত নদীতে পরিণত হয়েছে। এ নদীর জায়গা দখল করে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও গড়ে উঠছে স্থাপনা। কমছে নদীর প্রশস্ততা, কমছে প্রাণপ্রবাহ। প্রতি মুহূর্তে নদীর ভেতর ফেলা হচ্ছে পানি দূষণকারী ভয়ংকর সব বর্জ্য। বুড়িগঙ্গার বড় অংশেই নেই জলজ প্রাণী বা মাছ। এ নদীর পানি বহু আগেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েছে। এমনকি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে শ্বাস নেওয়া যায় না। পানির দুর্গন্ধে আশপাশে টেকাই দায়।

বুড়িগঙ্গা নদীর উৎসমুখ চুনার থেকে বসিলা হয়ে লালবাগ লোহারপুল পর্যন্ত আদি বুড়িগঙ্গা সম্পূর্ণরূপে দখল করে ধর্মীয় ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান, সরকারি স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেসরকারি ও শিল্প কারখানার মত বৃহৎ প্রকল্প ও ব্যাপক আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠেছে।

ইএইচ