শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সেশনজট সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ৫ দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত জুন মাসে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানামুখী সংকটের কারণে ক্লাস-পরীক্ষায় বসার সুযোগ হয়নি। এতে আমাদের প্রায় পুরো এক সেমিস্টার সেশনজটের সংকট তৈরি হয়েছে। তাতে কাঙ্ক্ষিত সময়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বেড় হতে পারব না।’ এ সমস্যার সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান তারা। এ সময় ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
দাবিগুলো হলো—
১. শাবিপ্রবিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের করে এনে স্বতন্ত্রভাবে বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা।
২.সেশনজট কমিয়ে আনার জন্য আগামী ৩ সেমিস্টার ৪ মাস করে সময়ে শেষ করা।
৩. আন্দোলনে হামলার সঙ্গে জড়িত এবং হলে অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
৪.ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা এবং পোষ্য কোটা বাতিল করা ও ৫.কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে উন্মুক্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সালেহ নাসিম বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে আমাদের এক বছর দুই মাস সময় নষ্ট হয়েছে। ভিসিবিরোধী আন্দোলনের কারণে দুই মাস সময় নষ্ট হয়েছে। ২০২২ এ বন্যার কারণে দুই মাস সময় নষ্ট হয়েছে ও সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে শাবিপ্রবিতে চতুর্মুখী আন্দোলনের ফলে প্রায় ৫ মাস সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আগামী এক বছরের মধ্যে ৪ মাস করে সেমিস্টার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সংকটের সমাধান করা।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করতে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নেব। আমরাও চাচ্ছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেশনজট সমস্যার সমাধান করতে। আশা করি খুব দ্রুতই এ সংকট থেকে উত্তরণ করতে পারব।’
বিআরইউ