র‍্যাগিং ইস্যুতে মামলা দায়ের, ইবির ৫ শিক্ষার্থীকে কোর্টে চালান

ইবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লালন শাহ হলে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী মো. তারেক। তিনি ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে ইবি থানায় এই মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। এর মধ্যে থানায় আটক থাকা ৫ শিক্ষার্থীকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। থানা সূত্রে জানা যায়, দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৩, ৩৪১ ও ৫০৬ নং ধারা অনুযায়ী মামলা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির হোসেন, শরিফুল ইসলাম লিমন, কান্ত বড়ুয়া, শেহান শরীফ শেখ, জিহাদ, শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল ও ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সঞ্জয় বড়ুয়া। এদের মধ্যে থানায় আটককৃত সাব্বির, শেহান, লিমন, কান্ত ও সঞ্জয়কে কোর্টে পাঠানো হয়।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের মামলা দায়ের ও চালানের  বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, মামলার বিষয়টা আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ফরিদ উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, গতরাতে র‍্যাগিংয়ে জড়িতদের পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। ভুক্তভোগীদের একজন বাদী হয়ে এ বিষয়ে মামলা করেছে। এরই প্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় আটককৃত ৫ জনকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে (৩৩০ নং) ও পার্শ্ববর্তী মেসে নবীন শিক্ষার্থীদের টানা ১৭ দিন র‍্যাগিং এর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে র‍্যাগিং এর এক পর্যায়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং দেয়ার সময় অভিযুক্ত কয়েকজন সিনিয়রের হাতে নাতে ধরা পড়ে। এসময় র‍্যাগিং এর শিকার সবাই ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিচয় শেখানোর নামে যৌন বিকৃতি মূলক আচরণ করানো হয় তাদের সাথে। নীল ছবির বিভিন্ন চরিত্রসহ নানা অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয় জুনিয়র শিক্ষার্থীদের সাথে। ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শফিউল্লাহর নেতৃত্বে ৯ জন শিক্ষার্থী মিলে নবীন ব্যাচের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। হাতেনাতে ধৃত ৬ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে একজনকে ভুক্তভোগীদের স্বীকারোক্তিতে ছেড়ে দেয়া হয়।

আরএস