গুচ্ছ পদ্ধতির জটিলতা এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবি জানিয়েছে কুবি শাখা ইসলামী ছাত্র শিবির।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২১ সালে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমাতে এবং ভর্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হলেও, এটি তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। বরং ভোগান্তি ও জটিলতা আরও বেড়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, গুচ্ছ পদ্ধতি অস্বচ্ছ, জটিল এবং বৈষম্যমূলক।
এতে আরও বলা হয়, গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের স্বকীয়তা হারাচ্ছে। একইসঙ্গে একক অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা যাচ্ছে না, যা শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। তদুপরি, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্য কমছে এবং মেধাবী শিক্ষার্থী যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ হ্রাস পাচ্ছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, “গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচে সিট ফাঁকা থাকার হার অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। এছাড়া শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ এ পদ্ধতির সমালোচনা করছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা চালু করেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েরও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি।”
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০তম সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে সকল প্রকার রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর থেকে দলীয় ব্যানারে ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচি দেখা না গেলেও প্রথমবারের মতো উপাচার্য বরাবর আজ স্মারকলিপি প্রদান করতে দেখা যায় ছাত্র শিবিরকে।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কুবি শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী বলেন, এটি আমাদের রাজনৈতিক কোন প্রোগ্রাম ছিল না। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শিক্ষার্থীরা যাতে গুচ্ছের মতো একটি ত্রুটিপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে মুক্তি পেতে পারে সেজন্য আমরা তাদের দাবিগুলো প্রশাসন বরাবর পেশ করেছি।
ইএইচ