দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে শিক্ষার্থী বাছাইয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারির আয়োজন করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লটারির ফলাফল জানতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ঘরে বসে অনলাইনে দ্রুত ফলাফল জানতে পারবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
ফল জানা যাবে যেভাবে
ডিজিটাল লটারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফলাফল জানতে পারবেন। মাউশির দেওয়া লিংকে প্রবেশ করে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে যত আবেদন জমা
মাউশি সূত্র জানায়, গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ১৮ দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে।
যার মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন পড়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি। আর বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি। এবার সরকারি-বেসরকারি ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে মোট ফাঁকা আসন আছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি।
মাউশির তথ্যানুযায়ী-৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন। সরকারিতে স্কুল আবেদনকারীরা পছন্দ (চয়েজ) দিয়েছেন ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০টি।
অন্যদিকে ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি। বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী।
ফাঁকা থাকবে দুই লাখ আসন
সরকারি স্কুলগুলোতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে নির্ধারিত আসনের ছয়গুণ। বিপরীতে ১০ লাখেরও বেশি আসন নিয়ে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি স্কুলগুলোতে ৭০ শতাংশ আসনের বিপরীতে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি।
ফলে সরকারি স্কুলে আবেদন করা শিক্ষার্থীরা পছন্দের স্কুল না পাওয়ায় বেসরকারিমুখী হবে। সরকারি স্কুল পছন্দ দেওয়া পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীকে শেষমেষ হয়ত বেসরকারি স্কুলেই ভর্তি হতে হবে। তারপরও বেসরকারি স্কুলে দুই লাখ আসন ফাঁকা থাকবে।
আরএস