জবিতে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

জবি প্রতিনিধি: প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে  ‍‍`মাইম্যান, সিন্ডিকেট,  ছাত্রলীগ নিয়ে পকেট কমিটি‍‍` আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শাখা ছাত্রদলের একটি অংশ।

আজ বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শাখা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা।

বিক্ষোভকারী একাধিক নেতা বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে তার বিন্দুমাত্র উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবে না এ কমিটি। বরং ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের গৌরবোজ্জ্বল ইমেজকে নষ্ট করে বিভেদের সৃষ্টি করবে। আমরা এ কমিটিতে প্রত্যাখ্যান করছি। কেন্দ্রীয় নেতারা  নিজেদের মাইম্যানকে ইউনিটগুলোতে বসাতে গিয়ে ত্যাগীদের সাথে তামাশা শুরু করেছে বলে এসব নেতারা মন্তব্য করেন।

নেতাকর্মীদের দাবি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যেসব নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে সেসব নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে অনিয়মিত ও শাখা ছাত্রদলের ব্যানারে আন্দোলন না করা কর্মীদের কমিটি দেয়া হয়েছে। এমনকি বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে যারা সর্বাধিক কারাভোগ করেছে তাদেরকেও রাজনীতি থেকে মাইনাস করার একটি পাঁয়তারা হিসেবে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।

জবি ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস শুকুর আইমান বলেন, দীর্ঘদিন পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে, এই কমিটিতে বিগত দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকেছে তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব মাই ম্যান সেটাপ করতে সিন্ডিকেট করে পকেট কমিটি গঠন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে এক্টিভি দুইটা ব্যাচের ৯ম এবং ১১ ব্যাচের কাউকে কমিটিতে রাখা হয়নি, এবং ছাত্রলীগ থেকে ৫ তারিখের পরে ছাত্রদলে যোগ দেয়া ছেলেদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে সুতরাং এই কমিটি আমরা ৪৫ দিন নয় একদিনও মানি না।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এরপরই সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শাখা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত কয়েকটি গ্রুপ। তারপর থেকে তারা প্রতিদিন ক্যাম্পাসের সামনে সতর্ক অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।

বিআরইউ