সীমান্ত হত্যা ও ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে ইবিতে বিক্ষোভ

ইবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার আহ্বানে সীমান্ত হত্যা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে ফেলানি হত্যা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা “ফেলানির রক্ত বৃথা যেতে দিব না; যদি পেতে চাও মুক্তি, ছাড়ো ভারত ভক্তি; জেগেছেরে জেগেছেরে, ছাত্র সমাজ জেগেছে; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি ফেলানিকে নির্মমভাবে হত্যা করে কাঁটাতারে সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলিয়ে রেখেছিল। সেই সময় খুনি হাসিনা  ও স্বেরাচারী সরকার নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেছিল। শহীদ আবরারকেও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যাওয়ায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই বাঙলায় আর ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসন হতে সুযোগ দিব না। যদি কোনো ব্যক্তি বা মহল ষড়যন্ত্র করে থাকে তাহলে আমরা জুলাই বিপ্লবের মতো প্রতিহত করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজকের এই দিনে ভারতীয় আগ্রাসীরা আমার বোনকে যেভাবে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল, সেটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে পুরো বাংলাদেশের মানচিত্র ঝুলানো হয়েছিল। অতীত যা হয়ে গেছে তা ভুলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই- ভারতের সাথে সম্পর্কে হবে চোখে চোখ রেখে। জুলাই বিপ্লবের পর আর নতজানু সম্পর্ক রাখা যাবে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে হয়তো বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে কিন্তু স্বামী স্ত্রীর মতো সম্পর্ক রাখা যাবে না। ফেলানি হত্যার মামলা এখনও চলমান। ভারতের সাথে যোগাযোগ করে অনতিবিলম্বে বিচারের অগ্রগতি বাড়ার জন্য বর্তমান সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।

আরএস