জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম রাহিকে অজ্ঞান অবস্থায় ময়মনসিংহ বাইপাস এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনায় মধ্যরাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, সোমবার ময়মনসিংহগামী ইমাম বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে তার ইফতারের খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর তার সঙ্গে থাকা ফোন ও মালামাল হাতিয়ে নিয়ে তাকে ময়মনসিংহ বাইপাস এলাকায় অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, এই ঘটনার সাথে ইমাম বাসের যোগসূত্র রয়েছে। তারা প্রথমে ইমাম বাস আটকানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর পর তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধের সময় শিক্ষার্থীরা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারীর আশ্বাসের পর তারা অবরোধ তুলে নেন।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে
১. মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার মধ্যে ময়মনসিংহ পরিবহন মালিক সমিতি, ইমাম বাস মালিক, বাসের ড্রাইভার, হেলপার, কন্ট্রাক্টরসহ তাদের হাজির করতে হবে।
২. ভুক্তভোগীর সকল চিকিৎসা খরচ ইমাম বাস মালিকের বহন করতে হবে।
৩. অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ত্রিশাল থেকে সকল রুটে বাসের ভাড়া নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সমন্বয় করা হবে।
৫. ত্রিশালে সকল বাসের কাউন্টার স্থাপন করা হবে।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ আমলে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ইমাম বাস মালিক ও পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ইএইচ