ঢাবি উপাচার্য

আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ‘আমরা নাম পরিবর্তন করছি না। আমরা পুরোনো নাম এবং ঐতিহ্যে ফেরত যাচ্ছি, যেটা দিয়ে চারুকলার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।’

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা নববর্ষের এই শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়, শোভাযাত্রার নতুন নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। আগে নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, এই শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্যে দুটো মেসেজ (বার্তা) আছে। একটি হচ্ছে, একটি নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারীব্যবস্থার অবসান। রাজনৈতিক ও সামাজিক নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারীব্যবস্থার বিরুদ্ধে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, সেই বিষয়টি তুলে ধরা। কিছু মোটিফ সেই কাজটি করছে। আর দ্বিতীয় যে অংশটি আছে, সেটি হচ্ছে মূলত ঐক্যের ডাক, সম্প্রীতির ডাক।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই শোভাযাত্রায় এই দুটো বার্তাকে তারা একসঙ্গে দিতে যাচ্ছেন।

চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’।

এর আগে গত ২৩ মার্চ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়নি।

এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে, না কি তা পরিবর্তন করা হবে, তা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে তার দেওয়া ব্ক্তব্যকে ‘মিস কোট’করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরএস