গুমকৃতদের ফেরতের দাবিতে জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মানববন্ধন

জবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৮:১১ পিএম

শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন, গুমের শিকার ৩ শিক্ষার্থী ও সাবেক জবি ছাত্রদল নেতাদের ফেরত, কুয়েটে অন্যায়ভাবে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।  

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধনটি আয়োজিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য, সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মীরা। এসময় তারা আবাসন সংকট নিরসন, গুমের শিকার সাবেক জবি ছাত্রদল নেতাদের ফেরত, কুয়েটে অন্যায়ভাবে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেন।

সংগঠনটির সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, একের পর এক বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনা হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্র নিশ্চুপ, বিচার ব্যবস্থা অপারগ। যারা জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা পেয়েছে তারা আজ বিচারব্যবস্থার সংস্কার করার পরিবর্তে আরও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিস্ট কোনো গোষ্ঠী নয়, এটি কন্সেপ্ট। যারাই নতুন করে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে চাইবে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ মিলে তাদের অধিকার রক্ষায় আবার ৫ই আগস্ট রচনা করবে।

সংগঠনটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ভার্সিটি প্রতিষ্ঠার ২ দশক হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ছেলেদের জন্য আবাসন এর ব্যবস্থা হয়নি। হল সুবিধা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর বৃদ্ধি সম্ভব না। 
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি বলেন: এমন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন হত্যা কাণ্ড কাম্য না। যারাই এই হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত দল মত নির্বিশেষে তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, আমাদের আক্ষেপ, হারানো আর না পাওয়ার তালিকা বড় থেকে বড় হচ্ছে। বিপরীতে আমাদের অধিকার আদায়ের কোঠা শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ২০ বছর হতে চলেছে। ২০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে আবাসন সুবিধা রয়েছে মাত্র ১২৪৮ জন নারী শিক্ষার্থীর জন্য। ছাত্রী হলের একটি মাত্র হল যেখানে ১২৪৮ আসনে গাদাগাদি করে থাকেন ২ হাজারের উপরে নারী শিক্ষার্থী। ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো আবাসন সুবিধা। প্রতিদিন তারা মেসে অমানবিক জীবন যাপন করেন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খেয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা দিনাতিপাত করছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের যখন এমন অমানবিক অবস্থা তখন প্রশাসন দ্বিতীয় তলার ভবনে উঠতে লিফট তৈরি করেন তখন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে তা আঘাত করে। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে প্রশাসনের উচিত ছিল নিরলস প্রচেষ্টা করা, আবাসন সংকট নিরসনে জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া। অথচ তার কোনো নজির দেখা যায়নি। বিপরীতে শিক্ষার্থীরা একের পর এক আন্দোলন, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তাতেও প্রশাসনের গড়িমসি ভাঙছেনা।

আরএস