মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ: হাইকমিশনে জমা দিতে হবে নিয়োগ কর্তার প্রতিশ্রুতি পত্র

আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম

মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিতে হবে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তার প্রতিশ্রুতি পত্র। শুক্রবার মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (শ্রম) নাজমুছ সাদাত সেলিম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ কথা জাননো হয়েছে। 

যথাসময়ে হাইকমিশনের প্রত্যয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতি পত্র জমা দিতে নোটিশের মাধ্যমে নিয়োগকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে, বাংলাদেশী কর্মীদের সম্ভাব্য মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের যথাযথভাবে নোটারাইজড এবং প্রত্যয়িত মন্ত্রণালয় দ্বারা মালয়েশিয়ার বৈদেশিক বিষয়, সংযুক্ত নির্ধারিত বিন্যাস অনুযায়ী বাংলাদেশের হাইকমিশনে একটি প্রতিশ্রুতি পত্র জমা দিতে হবে। এরই মধ্যে ৪ লাখ ২৭ হাহার ৭৫৯ জন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে ২ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩২৮ জন কর্মী ডিমান্ড সত্যায়ন করেছে হাইকমিশন। ২ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪০৩ জন কর্মী। এছাড়া সত্যায়ন করা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৫ জন শ্রমিক ঢাকা থেকে আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন।

হাইকমিশনের লেবার মিনিস্টার নাজমুছ সাদাত সেলিম জানান, এরই মধ্যে কিছু কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তারা শ্রমিকদের মাসের পর মাস কাজ না দিতে পেরে বসিয়ে রাখছে। এসব অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে হাইকমিশন কোম্পানির সাথে কথা বলে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করছে।

তিনি জানান, সঙ্গত কারণেই কর্মীরা মালয়েশিয়ায় এসে যেন কাজ না পেয়ে যেন বসে না থাকতে হয় সেজন্য ওই কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা কতটুকু তা যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তারা শ্রমিকদের কাজ, বেতন-ভাতাদি, আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সঠিক সময়ে নিশ্চিত করার সামর্থ্য আছে কি না তথ্য উপাত্ত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে হাইকমিশন থেকে কলিং ভিসার সত্যায়ন করা হচ্ছে।

লেবার মিনিস্টার আরো জানান, সত্যায়নে স্বচ্ছতার জন্য যেমন দরকার প্রয়োজনীয় সময় তেমনই দরকার দক্ষ লোকবল। হাইকমিশনের শ্রম বিভাগ এসব সত্যায়নের দায়িত্বে ন্যাস্ত। ছুটির দিনসহ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে লাখ লাখ সত্যায়নের আবেদনগুলো সম্পন্ন করছেন। এজন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

এইচআর