জমিনে তওবাকারী সর্বোত্তম, বিশ্বনবী দৈনিক ৭০ বার তওবা করতেন: ড. আজহারী

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম

আমাদের সবাই কোন না কোন ভাবে পাপী। যারা আল্লাহপাকের কাছে তওবা করে দ্বীনের পথে ফিরে আসে তারাই সর্বোত্তম বান্দা। বিশ্বনবী (সাঃ) দৈনিক ৭০ বার তওবা করতেন। রাসূল(সাঃ) কে ছাড়া মহান রাব্বুল আলামিনকে পাওয়ার কোন পথ নেই।  

তাই আমাদের  রাসূল (সাঃ) এর বিধান ও তার বানী সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক স্কলার শায়খ ড. মিজানুর রহমান আজহারী। 

গতকাল সন্ধ্যায়  মালয়েশিয়ার সাইবারজায়া ব্রেইনী বাঞ্ছ কমপ্লেক্সের বলরামে বাংলাদেশ মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়ার উদ্যেগে আয়োজিত ইসলামিক কনফারেন্সে বয়ান এ মন্তব্য করেন শায়খ ড. মিজানুর আজহারী।

তিনি আরো বলেন, দূনিয়ার মানুষ যাকে বেশি পছন্দ করবেন আল্লাহ পাকও তাকে ভালোবাসেন। যারা মানুষের বিপদে সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন এবং মানুষের কল্যানে সবকিছু উড়ার করে দেন তারাই আল্লহ পাকের প্রিয় বান্দা-বান্দী।

এসময় একই মঞ্চে বয়ান পেশ করেন এ সময়ের সাড়াজাগানো ইসলামিক গবেষক আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান।  তিনি তার বয়ানে বলেন, কেয়ামতের আলামতের বিষয়ে বিশ্ব নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে প্রশ্ন হলে রাসূল (সাঃ) বলেন,  যখন দেখবে "দাসীর ঘরে মনিব জম্ম নিচ্ছে এবং সমাজের নিচুস্তরের এক ধরনের মানুষ নগ্ন দেহে নগ্ন পায়ে হঠাৎ করে ধনী হয়ে যাচ্ছে তখন বুঝবে কেয়ামত খুব সন্নিকটে " মনিবের ঘরে দাসী জম্ম নিবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু দাসীর ঘরে মনিব জম্ম নিতে পারে না এটা অস্বাভাবিক।

তখন দেখা যাবে সমাজ থেকে ন্যায় বিচার উঠে গেছে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। আদনান আরো বলেন, তখন শয়তানের কুমন্ত্রণা ও তার প্রভাব বেশি বিস্তার করবে ইনসানের উপর। আর ইবলিশ তো কখনোই ফেরেশতা ছিল না সে ছিল পূর্বে জিন জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিল। আপনি জীবন যত পাপ করেছেন যদি আল্লাহর দরবারে তওবা করেন তাহলে আল্লাহ পাক তাকে সর্বোত্তম বান্দা-বান্দী হিসেবে কবুল করে নেন।

ইবলিশ সে কারণেই শয়তানের নেতা সে তওবা করে আল্লাহ পাকের নির্দেশিত পথে ফিরে আসেনি।  আদম আল্লাহর আদেশ মেনে তওবা করে দ্বীনের পথে ফিরে এসেছে।  

এসময় মসজিদের বিষয়ে আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মসজিদ কমিটির কিছু লোক ঘোষখোর, সূদখোর ও দূর্নীতিবাজ। আরবিতে মসজিদের আরেক নাম "বায়তুল্লাহ"এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর ঘর। আর সেই আল্লাহর ঘর এখন হয়ে যাচ্ছে বায়তুন নাস মানে মানুষের খেয়াল খুশির ঘর। আল্লাহর রাসূলের বিধানে মসজিদ গুলো পরিচালিত হচ্ছে না। সেখানে মানুষের খেয়াল খুশিমত মসজিদ পরিচালিত হচ্ছে ।

দূনিয়ার সবচেয়ে বড় চোর হচ্ছে সে যে নামাজে দাড়িয়ে ফাঁকি দেয়,  ঠিকমত রুকু সিজদা দেয় না। অধিকাংশ মসজিদ গুলো তে সঠিক ও সহীহ্ নামাজ নাই। দৌড়ের উপর মসজিদ গুলোতে নামাজ আদায় করা হচ্ছে।  আমরা যারা দায়ী আছি তারা চুপ করে বসে না থেকে সতর্ক করতে হবে।  আল্লাহ রাসূলের বানী প্রচার করতে হবে এবং ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে, এটাই ইসলামের শিক্ষা।  

বিকেল সাড়ে ৬টার সময় ইসলামিক কনফারেন্সে এর বয়ান শুরু হয়ে চলে এক টানা রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ মুসলিম কমিউনিটির কো-অর্ডিনেটর মো. মুরাদ হোসেন। আগামী ২৩ জুলাই মালয়েশিয়ার ক্লাং প্রদেশের সেন্ট্রো শপিংমলের বলরুমে বয়ান পেশ করবেন শায়খ ড. মিজানুর রহমান আজহারী এবং আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান।  

রেজিষ্ট্রেশন করে আপনার সিট বুকিং দিতে পারেন। এই দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন সহস্রাধিক মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীসহ মালয়েশিয়ানরা। বয়ান শেষে সমগ্র মুসলিম জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান।

এইচআর