মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে জিহ্বা ও হার্ট এর চেয়ে অতি উত্তম কিছু যেমন পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না ঠিক তেমনই এর চেয়ে নিকৃষ্ট কিছু পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না। যদি সেই জিহ্বার দ্বারা আল্লাহ পাক ও রাসূল(সাঃ) এর বানী প্রচারিত হয় এবং হদয়ে ধারণ করা হয় তাহলে সেটা অতি উত্তম কিছু হয়ে যায়।
যদি সেই একই জিহ্বায় আল্লাহ ও নবী রাসূল(সাঃ) বানী ব্যতিত মানুষের অকল্যানকর কিছু উচ্চারিত হয় এবং কলবে ধারন করা হয় তাহলে এর চেয়ে নিকৃষ্ট কিছু পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না। গতকাল মালয়েশিয়ার ব্ন্দর নগরী পোর্ট ক্লাং এ বাংলাদেশ মুসলিম কমিউনিটি মালয়েশিয়ার ২য় ও শেষ ইসলামি কনফারেন্স ২০২৩ এ এ মন্তব্য করেছেন শায়খ ড. নিজানুর রহমান আজহারী।
এ ইসলামি কনফারেন্স এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মো. মোরাদ হোসেন। এসময় সেন্ট্রো শপিং মল কমপ্লেক্সে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি প্রবাসী মুসলিমের এক মিলন মেলা পরিনত হয়েছে। এসময় ড. আজহারী পবিত্র কোরআন এর পবিত্র সূরাহ লোকমান (আঃ) তাফসির করে সন্তানের প্রতি পিতার আদেশ কেমন হবে তা বর্ননা করেন, আল্লাহ পাক বলেছেন, আমি সূরাহ লোকমান (আঃ) কে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়েছি তার সন্তান ইসমাইল (আঃ) কে দ্বীন ও আখেরাতের সঠিক উপদেশ প্রদান করার জন্য।
ড. আজহারী আরো বলেন, মহান রাব্বুল আলামিনের সাথে কাউকে শরীক করে বা অন্য ভাবে তার সাথে শিরক করা যাবে না । সব গুনাহ আল্লাহ পাক একদিন মাফ করবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ মাফ করবেন না। সমাজে অন্যায় কিংবা জুলুম হলে প্রতিবাদ করতে হবে। একজনে অন্যায় করলে সবার উপর এর দ্বায় বর্তায়। এবিষয়ে ড. আজহারী বলেন, হযরত মূসা (আঃ) আল্লাহপাককে প্রশ্ন করে বলেন, একজন অপরাধ করলে এর দ্বায় সবার উপর কেন পড়বে?
তখন মূসা (আঃ) কে একটি লাল পিঁপড়া কামড় দেন, তখন মূসা (আঃ) বেদনায় উত্তেজিত হয়ে লাল পিপড়াদের সব বাসা গুড়িয়ে দেন। এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ পাক মূসা (আঃ) বিস্তারিত বুঝিয়ে দেন।
উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সময়ের আলোচিত বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক আবু ত্ব হা মুহাম্মদ আদনান। তিনি বলেন, আমাদের পাড়া গায়ের কিছু কিছু মসজিদে নামাজ পড়ানো হয় মসজিদ কমিটির লোকদের খুশি করার জন্য, আল্লাহ রাসূল ছাড়া অন্য কাউকে খুশি করার জন্য নামাজ পড়লে এ নামাজ সহীহ হবে না। আল্লাহর ঘর মসজিদ বায়তুল্লাহ এখন হয়ে যাচ্ছে বায়তুন নাস মানে মানুষদের খেয়াল খুশির ঘর।
আদনান বলেন, আমি একটি অনলাইন মাদ্রাসা খুলবো যেখানে সবাই খুব সহজেই দ্বীন আখেরাতের শিক্ষা লাভ করতে হবে। আপনারা সবাই দেশ বিদেশে যে যেখানে আছেন সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে যেই মাযহাব বা তরিকাতে আছেন এতে কোন সমস্যা নেই। যে যেই রাজনৈতিক দল করুক তাতেও কোন সমস্যা নেই। সেই দিন খুব দূরে নয় যেদিন বিশ্বের সব মুসলিম এক হবেন। এই মুহুর্তে বিশ্বের সকল মুসলিম এক হওয়াটা জরুরি।
এইচআর