স্বয়ংক্রিয় কাপড় ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে পাওয়া গেল শিশুর লাশ

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০১:৪০ পিএম

স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাপড় ধোয়ার মেশিনের ভেতর অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেল ৬ বছর বয়সীর এক শিশু। শিশুটির নানী প্রথমে দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে মালয়েশিয়ার ইপুহ জেলার কাম্পুং সুঙ্গাই তাপাহ তাম্বাহান মানজোইতে একটি যৌথ পরিবারের বসতঘরে স্থাপিত ওয়াশিং মেশিনে।

তবে এই ৬ বছরের শিশুটি কাপড় ধোয়ার মেশিনে কিভাবে প্রবেশ করল এবং তার মৃত্যু হল সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি কারণ ঘটনাস্থলে কোন সিসি ক্যামেরা ছিল না। তাছাড়া ঘটনার সময় শিশুটির  নানী ছাড়া পরিবার সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ওয়াশিং মেশিন টি চলতে চলতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শিশু টি কে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।  

ইপুহ জেলার পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার ইয়াহিয়া হাসান বলেছেন, ছয় বছর বয়সী শিশুটি কাজ করার সময় টপ-লোডিং মেশিনে পড়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মেশিনে আরোহণ করার সময় পড়েছিল কিনা তা এখনও তদন্তাধীন। তবে, আমরা বিশ্বাস করি যে এটি সেভাবেই ঘটেছে। তিনি আরো জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনার সময় নিহতের নানী ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন।

শিশুটি কে উদ্ধার করে বাড়ি থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে রাজা পেরমাইসুরি বাইনুন হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় আনা হয়েছিল,তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা গতকাল সকাল ১১  টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেছে।

হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পরিচালিত ময়নাতদন্তের ফলাফলে দেখা গেছে যে মৃত্যুর কারণ একটি ভোঁতা বস্তুর কারণে (মাথার ভোঁতা আঘাত) মাথায় আঘাতের কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল। দেশটির প্রচলিত শিশু আইন  ২০০১ (অ্যাক্ট ৬১১) এর ৩১(১)(ক) ধারায় মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, মালয়েশিয়ায় তাদের পরিবারের ব্যবহৃত সকল কাপড়চোপড় সরাসরি হাতে না ধুয়ে স্বয়ংক্রিয় ওয়াশিং মেশিন দিয়েই ধুয়ে থাকেন। শহরের সবগুলো এ্যাপার্টমেন্ট ও আবাসিক এলাকায় এবং শহরের মোড়ে মোড়ে অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন ও ড্রায়ার থাকে। সেখানে মাত্র কয়েক রিংগিত খরচ করে কোন ঝামেলা ছাড়াই কাপড় ওয়াশ করা এবং শুকানো সম্ভব। আবার কারো কারো বসতঘরেই ওয়াশিং মেশিন ও ড্রায়ার থাকে।

এইচআর