মালয়েশিয়ায় বিদেশি ফ্রেবিক সফটনার পণ্যের আড়ালে সৌদি আরবের আবে জমজম কূপের পবিত্র পানি জালিয়াতির মাধ্যমে পাচার করার সময় আটক করেছে দেশটির কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
এ সময় একটি লরি থেকে ৫ হাজার প্লাস্টিক বোতলে ২৫ হাজার লিটার জমজমের পানি আটক করা হয়েছে। যার মূল্য মালয়েশিয়ান রিংগিতে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য প্রায় ৩ কোটির বেশি।
রাত ১১টার সময় দেশটির কেদাহ রাজ্যের একটি মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে এ পবিত্র পানি আটক করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই লরির ড্রাইভার ও সহকারী চালককে আটক করা হয়েছে তারা দুজনে থাইল্যান্ডের নাগরিক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় সৌদি আরবের আবে জমজম কুয়ার পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে আমদানি, বিক্রয় ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ এই পবিত্র পানি বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানি করার অনুমতি দেয় না। তাই এই পানি নকল হতে পারে আসল জমজমের পানি নয়।
তবে পবিত্র হজ্জ পালনকারীরা এই মূল্যবান গুরুত্বপূর্ণ পানি পান ও পরিবারের জন্য বহন করতে পারে। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মুসলিম রোজাদার মানুষের কাছে এই পানি চড়ামূল্যে বিক্রয় করার জন্য এই চালান আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির রয়্যাল মালয়েশিয়ান কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট (জেকেডিএম) এর তদন্তে জানা গেছে, ফেব্রিক সফটনারযুক্ত বাক্স বোঝাই একটি কনটেইনার লরিতে লাইসেন্সবিহীন জমজম জলের বোতল পাওয়া গেছে যা দেশে পাচার করার জন্য আনা হয়েছিল। পাচারকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিতে বিশাল কনটেইনার লরির পিছনের দরজার অংশে ফেব্রিক সফটনার লিকুইড প্যাকেট (যা কাপড় নরম ও ওয়াশে ব্যবহৃত তরল) দিয়ে জমজম পানির বোতলগুলোকে আড়াল করা হয়েছে। পুলিশ চেক করলে যেন বুঝতে পারে এই কনটেইনার লরির ভেতরে ফ্রেব্রিক নরম ও ওয়াশ করার প্যাকেট শুধুই আছে।
কেদাহ জেকেডিএমের পরিচালক নর ইজাহ আব্দুল লতিফ বলেছেন, তার কর্মকর্তারা বুকিত কায়ু হিতাম ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, কোয়ারেন্টাইন অ্যান্ড সিকিউরিটি (আইসিকিউএস) পরিদর্শনের সময় দেখেন প্রত্যেকটি বোতলে ৫ লিটার করে পানি রয়েছে। কিন্তু এই পানি কি সত্যিই সেই সৌদি আরবের আবে জমজম কুয়ার পবিত্র পানি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইএইচ