মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য পশু কোরবানি দিয়ে মাংস বিতরণ

আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত যে সমস্ত বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মচারীদের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই তাদের জন্য পশু কোরবানি দিয়ে শতাধিক প্রবাসীদের হাতে মাংস তুলে দেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি কোম্পানির মালিক।

তবে কোম্পানির নাম ও মালিকের নাম প্রকাশ করতে চান না মাংস বিতরণকারীরা।

ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার সকালে কুয়ালালামপুরের গুমবাগ সরকার নির্ধারিত স্থানে পশুগুলো কোরবানি দিয়ে বিকাল পর্যন্ত চলে মাংস বিতরণের কার্যক্রম। এ সময় প্রবাসীরা কোরবানির মাংস পেয়ে কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ করে সকল প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াতে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মালয়েশিয়ায় স্থানীয় ব্যক্তি অথবা প্রবাসীরা কোন পশু কোরবানি করতে হলে দেশটির প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জাবাতান পারখিদ মাতান ভেটেরিনারি অনুমতি ও সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। অনুমতি ছাড়া কোরবানি অথবা যত্রতত্র পশু জবাই করা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

মালয়েশিয়ায় কোন কোরবানির পশু ক্রয়বিক্রয়ের জন্য কোন হাট বাজার নেই। সরকার অনুমোদিত নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক খামার থেকে পশু কেনার পর সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি বা বিক্রয়ের জন্য মাংস প্রস্তুত করেন সংশ্লিষ্টরা।  

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ২ মিলিয়ন বাংলাদেশি প্রবাসীর বসবাস। দেশটিতে কোরবানি পশুর দামের আধিক্য ও সরকারি বিধিনিষেধ থাকার কারণে প্রায় ৯৯ ভাগ শ্রমিক কোরবানি দিতে না পারায় এ সময় কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত হন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাংস বিতরণকারী ব্যক্তি বলেন, দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি সার্মথ্যবান ব্যবসায়ী, নিয়োগকর্তা ও ভিআইপিরা এগিয়ে এলে প্রবাসীদের স্বজনহীন নিরানন্দ ঈদ উদযাপনে কিছুটা বাড়তি আনন্দ যোগ হবে। এ সময় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গাড়িতে করে কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় কয়েক শতাধিক প্রবাসীদের মাঝে গরু ও ছাগলের শত শত কেজি মাংস বিতরণ করে প্রশংসিত হন সংশ্লিষ্টরা।  

ইএইচ