পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে প্রবাসী সাংবাদিক ও পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি মোহাম্মদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (২১ জুন) ইসমাইল হোসেন জুয়েল, জাবেদ মাহমুদ, আরিজ আলী নামে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক।
প্রসঙ্গত, গত ুই মাস থেকে একটি সংঘবদ্ধ ল সাংবাদিক রনিকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে গত বুধবার (১৯ জুন) রাত ১০ টার দিকে লিসবসনের লার্গা ইনতেন্দেন্তে ইসমাইল হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে কয়েকজন এই হামলা চালায়। হামলাকারী জুয়েল পর্তুগাল আওয়ামীলীগের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং জাবেদ মাহমুদ ও আরিজ আলীও একই লের পধারী নেতা বলে পরিচয় দেন। মামলার পরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক রনির উপর হামলার ঘটনায় পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবসহ পর্তুগালের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ঢাকা টাইমসের পর্তুগাল প্রতিনিধি সাংবাদিক রনি জানান, গত তিন মাস ধরে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেয়া কিছু দুর্বৃত্ত তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। ১৯ জুন রাতে জুয়েলের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এ ঘটনার পর তিনি জীবনে নিরাপত্তা এবং বিচার চেয়ে মামলা করেছেন।
পর্তুগাল বাংলাদেশ ক্লাবের সভাপতি রাসেল আহম্মেদ বলেন, ইউরোপের মাটিতে বসে এদের এমন আচরণ এবং হামলায় আমরা হতবাক। ব্যক্তিগত পর্যায়ের কোনো গ্রুপে বা কোনো ঝামেলা থেকে এরা সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে। একই ব্যক্তিরা কিছুদিন আগে প্রেসক্লাবের ইফতার পার্টিতে গিয়েও ঝামেলা করেছেন। এসব ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর ন্যায়বিচার চাই।
পর্তুগাল সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আসাদ বলেন, এ ধরনের হামলা সত্যিই কষ্টকর। আমরা দেশের বাহিরে থাকি, একসাথে থাকতে চাই সবাই। কিন্তু কিছু দুষ্টু মানুষের জন্য বিদেশের মাটিতে যেমন দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। অচিরেই এ ধরনের দুষ্টু মানুষদের কমিউনিটি এবং দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা উচিত।
পর্তুগালের তরুণ উদ্যোক্তা ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মাসুম আহমেদ বলেন, এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের প্রশ্রয় পেয়ে তারা এ হামলা করার দুঃসাহস করেছে। আমার জানামতে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের এমনও নেতা রয়েছেন যারে নামে এই দেশে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। এসব লোকদের কারণেই বাংলাদেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী সুনামধন্য রাজনৈতিক ল আওয়ামী লীগের বনাম হচ্ছে।
সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ যদি কোনো ধরনের হামলা মামলায় জড়িত থাকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএস