মালয়েশিয়া লাখ লাখ বাংলাদেশি অবৈধ হওয়ার পথে

আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীকে বৈধকরণ প্রক্রিয়া আরটিকে ২.০ দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকার কারণে এখন লাখ লাখ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা অবৈধ হওয়ার পথে।

প্রবাসীরা বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে দেশটির সরকারের বৈধ হওয়ার কার্যক্রম আরটিকে ৩.০ চালু করার দাবি করেছেন।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ান চার শতাধিক নিয়োগকর্তা অবৈধদের বৈধকরণ কর্মসূচি আরটিকে ৩.০ পুনরায় চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।  

বর্তমানে মালয়েশিয়া প্রায় ১ মিলিয়নেরর বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক রয়েছেন।

শ্রমিক ছাড়াও দেশটিতে সেকেন্ড হোমধারী, ব্যবসায়ী, মালয়েশিয়ায় বিয়ের সূত্রে পার্মানেন্ট রেসিডেন্স, স্টুডেন্ট, শিক্ষকতাসহ পর্যটন ভিসায় লাখ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের পড়ে দক্ষিণ এশিয়ার ইউরোপ খ্যাত মালয়েশিয়াতে রয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশিদের জন্য অপার সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত।  এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে।

সময়মতো বৈধকরণ প্রক্রিয়া আরটিকে ৩.০ চালু না হলে কয়েক লাখ বাংলাদেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হবেন। এর ফলে চলমান রেমিট্যান্স প্রবাহেও বড় ধাক্কা খাবে।  মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক এক বার্তায় বলেন- ২০২১ সালে আরটিকে ২.০ চালুর পর ২০২৩ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের প্রায় ৭ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী বৈধ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ অভিবাসী ইতিমধ্যে বৈধতার সুযোগ পেয়ে ভিসা হাতে পেয়েছেন। কিন্তু ২০২৩ সালে শেষের দিকে আরটিকে ২.০  কার্যক্রমটি আর বাড়ানো হবে না বল হঠাৎ বন্ধ করে দেয় সরকার। আর যাদের ভিসার মেয়াদ ২০২৩ সালে এসে শেষ হয়েছে তাদের একটি বড় অংশ এখনো বৈধ হতে পারেনি।  এমনকি তারা সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করলেও তাদের ভিসা হয়নি এখনও।  আর এই ভিসা কখন হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।  এখন প্রায় কয়েক লাখ বাংলাদেশি গ্রেপ্তারের আতঙ্ক অনিশ্চয়তায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেডিএন-এ প্রায় ১০০ কোম্পানি মালিকদের অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে স্থানীয় মিডিয়াগুলোকে তারা জানিয়েছে, দেশটির কনস্ট্রাকশন, প্লানটেশন, ম্যানুফ্যাক্টর এবং সার্ভিস সেক্টরগুলো বিদেশি কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এটি (আরটিকে-২.০) কর্মসূচি বন্ধ হলে, এ সেক্টরগুলো চালানো তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচির অধীনে নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা প্রায় হাজার হাজার বিদেশি কর্মী এখনো আটক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যদিও তারা আরটিকে-২.০ কর্মসূচির অধীনে রেজিস্ট্রেশন করে আইন মেনে চলার পদক্ষেপ নিয়েছিলো।

ইএইচ