টিউলিপ সিদ্দিকের পাশে দাঁড়ালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম

বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির এক মামলার তদন্তে যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়লেও তার পাশে দাঁড়ালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।

লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর তার আস্থা রয়েছে।

সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৪২ বছর বয়সী টিউলিপ যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্বে রয়েছেন। বাংলাদেশে তিনি ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চলছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার সোমবার বলেছেন, ‘তিনি অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর আস্থা রেখেছেন।’

টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সদস্য, এমপি এবং প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থ ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন, যেখানে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল।

টিউলিপ সিদ্দিকের খালা এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে তারই আওতায় পড়েছেন টিউলিপ। সিদ্দিক ছাড়াও শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে বাংলাদেশ। যদিও এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে ভুয়া বলে অভিহিত করেছিলেন সজীব ওয়াজেদ।

এই অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে ই-মেইলে যোগাযোগ করা হলেও টিউলিপ সিদ্দিক তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি বলে সোমবার জানিয়েছে রয়টার্স। এ দিন লন্ডনে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির ব্রিটেনে থাকা ফ্ল্যাট টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যবহার করা নিয়ে স্টারমারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এ সময় তারা স্টারমারের কাছে জানতে চান, টিউলিপের ফ্ল্যাট ব্যবহার করা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের পর টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত কি না?

জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক নিজেকে স্বতন্ত্র উপদেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে একেবারে সঠিকভাবে কাজ করেছেন, যেমনটি তিনি বর্তমানে করছেন। আমি তার প্রতি আস্থা পেয়েছি এবং এটিই সেই প্রক্রিয়া যা এখন ঘটবে।

ইএইচ