একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা, নাট্যকার-নাট্যনির্দেশক আবুল হায়াত তার নিজের রচনা ও পরিচালনায় বেশ কিছুদিন বিরতির পর নতুন আরও একটি নাটক নির্মাণ করলেন। নাটকের নাম ‘এসো শ্যামল সুন্দর’। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ, তৌকীর আহমেদ ও তারিন জাহান।
নাটকটি প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘মানুষ তার জীবন চলার পথে নানান সময় এমন কিছু ঘটনার মুখোমুখি হয় যখন আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারি, কখনো আবার পারি না। যখন পারি না, তখন আমাদের মধ্যে ভীষণ রকম মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়।
এই নাটকে তারিন জাহান যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তার জীবনে এমন তিনটি ঘটনা ঘটেছে যে, মনে হয় যেন তিনটি ঘটনাই একই সূত্রে গাঁথা। সেই দুঃখে-কষ্টে তার এমন হয় যে, আর জীবনে কোনোদিন গান গাইবে না এবং কাউকে গান গাইতেও দেবে না। তার এমন মানসিক পরিস্থিতিতে তাকে একটি সময় এসে সবাই পাগল ভাবতে শুরু করল। কিন্তু শেষশেষ গানের মধ্যদিয়েই তার জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসে। দীর্ঘদিন পর এই নাটকে তৌকীর অভিনয় করেছেন।
খায়রুল আলম সবুজ, তারিন জাহান— সবার অভিনয়ে নাটকটির গল্পটা চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।’ খায়রুল আলম সবুজ বলেন, ‘গল্প, নির্দেশনা, সবার অভিনয় সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।’
তৌকীর আহমেদ বলেন, ‘অনেকদিন পর আমি অভিনয় করেছি। আমি খুব আনন্দ দিয়ে কাজটি করেছি। খুব শান্ত মেজাজের ছিমছাম একটি নাটক এটি। যারা নাটকটি দেখবেন আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’
তারিন জাহান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হায়াত আঙ্কেলের নির্দেশনায় কাজ করা। তার লেখা ও নির্দেশনায় অভিনয় করতে গিয়ে সব সময়ই একটা চ্যালেঞ্জ অনুভব করি। কারণ তার লেখা নাটকের গল্প-সংলাপ এক কথায় অনেক উঁচুমানের হয়ে থাকে।
সর্বোপরি তার লেখা গল্পের ভেতর একটি ম্যাসেজ থাকে। হায়াত আঙ্কেলের একটি নাটক মধ্যাহ্ন ভোজ কী হবে— নাটকটির কথা এখনো মানুষ দেখে এবং এই নাটক নিয়ে এখনো দর্শকের কাছ থেকে সাড়া পাই। নতুন এই নাটকটির গল্প মূলত একজন মায়ের মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে।
আঙ্কেল নিজেই যেহেতু একজন অভিনেতা। সে কারণে তারসঙ্গে অভিনয় করার সময় তার কাছ থেকে নতুন করে শিখি। তিনি প্রত্যেক সময় শিল্পীদেরকে লাইনআপটা চমৎকারভাবে ধরিয়ে দেন। দীর্ঘদিন পর তৌকীর ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করেও ভীষণ ভালোলাগলো।’ আবুল হায়াত জানান, শিগগিরই নাটকটি চ্যানেল আই’তে প্রচার হবে।