সোশ্যাল মিডিয়ার নজর আর নিউজের বড় শিরোনাম এখন রাজ-পরী দম্পতির বিচ্ছেদের। রাজের সঙ্গে থাকবেন না বলে পরীমণি চলে গেছেন। কিন্তু কোথায় গেছেন? বিষয়টি কি ভাবাচ্ছে রাজকে? নাকি এ ঘটনার নেপথ্যে আরো ঘটনা আছে? নাকি এসব কোন সিনেমার প্রমোশনের পায়তারা। তার আসলে বোঝা মুশকিল।
এ নিয়ে বরেন্য পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু আমার সংবাদ অনলাইনের মুঠো ফোনে বলেন, ‘পরীমণিকে ইতিমধ্যে সবাই চেনে। এর আগেও নানান কারণে তাকে সমালোচিত হতে দেখা গেছে। জেলও খেটেছেন। যদিও তাদের সমসাময়িক সংসার টিকে থাকতে পারে। কোন একদিন দেখা যাবে ভেঙে গেছে। আমার মতে পরীমণিও কাউয়া, রাজও কাউয়া; ওদের সংসার কোনদিনও টিকবে না। বরং আমাদের চলচ্চিত্রের সুনাম ক্ষুন্ন করছে এই দম্পত্তি। হয়তো নতুন প্রজন্ম ভাববে চলচ্চিত্র মানেই এরকম।’
এই পরিচালক আরও বলেন, ‘আমাদের সময় তো নায়িকা শাবানা, ববিতা, সুচরিতা, কবরি`র মতো নায়িকাদের সংসার জীবন দেখেছি। তারা সিনেমার বাইরে এসব নিয়ে কখনো মাথা ঘামায়নি। আর এখন সবাই আসলে আলোচনায় থাকতে চায়। এগুলো চলতে চলতে আসলে প্যাশন হয়ে গেছে। তাতে আমাদের সম্মানহানী হচ্ছে। চলচ্চিত্রের মানুষের নাম শুনলেই এখন মানুষ আতংকে থাকে। তাদের আসলে এসব কে বুঝাবে। শুধু বলব ওদের আল্লাহ হেদায়েত দান করুক।’
বিগত সময়গুলোতে রাজ-পরীর সাংসারিক সংকট নিয়ে নানা তথ্য সামনে এলেও বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না। তবে ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে রাজ-পরী দম্পতির বিচ্ছেদের কথা ছড়াতে থাকে।
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রবিবার ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি পোস্ট করে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন এ নায়িকা। তিনি লেখেন—‘শুভ নববর্ষ। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন। কিন্তু পরে তার আর হতে দেখা যায়নি।
এএন