বর্তমান মিডিয়ার সমালোচিত-আলোচিত দম্পতি এখন রাজ-পরী। সম্প্রতি দাম্পত্যের টানাপোড়েনে আলোচনায় ছিলেন এই দম্পতির। বর্তমানে সব বিভেদ ভুলে ফের একই ছাদের নিচে সুখে সংসার করছেন তারা। তবে নায়িকার ভাষ্যমতে, সন্তানের দিকে তাকিয়ে রাজের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে তাদের সুন্দর জীবনের জন্য রাজের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন। স্বামীকে সেভাবেই বোঝাচ্ছেন পরী।
এদিকে ‘রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও নানান জটিলতার কারণে একসঙ্গে দুবাই যাচ্ছেন না তারা। পরীমণি জানান, দুবাই যাচ্ছেন না তারা। এ সফর বাতিল করেছেন নিজেরাই। নাকি অন্যকিছু? সেটি জানতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। কারণ পরী এর আগেও টাকা পয়সার নিয়ে অনুষ্ঠান ফাঁসানোর অভিযোগ আছে তার নামে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যাওয়ার কথা ছিল, এখন আর যাচ্ছি না। রাজ এর বাইরে আমাকে তিনটি দেশের নাম দিয়েছে, যেকোনো একটা দেশে যাব। কোন দেশ, এখনই বলছি না। দেশের বাইরে মজা করতে যাচ্ছি না আমরা।’
তিনি আরও বলেন, বাবুকে (রাজ্যকে) সঙ্গে নিয়ে প্রথম দেশের বাইরে যাব। তার জন্য একটু ঘোরাঘুরি তো হবেই। রাজ্যের পাসপোর্ট হয়নি এখনও।’ ‘তাছাড়া আমাদের মধ্যে একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, এখন ঠিকঠাক হয়েছে। একসঙ্গে কিছুদিন দেশের বাইরে থাকলে সম্পর্কের জায়গাটা আরও শক্তিশালী হবে।
নতুন বছরের প্রথম প্রহরেই রক্তমাখা বিছানার ছবি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা জানান। পরবর্তীতে আরেকটি স্ট্যাটাসে রাজের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তিনি। যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় দেশের শোবিজ অঙ্গনে। রীতিমতো টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে তাদের দাম্পত্য কলহ। সংসার ভাঙার গুঞ্জন আরও জোরালো হয়। একই দিন অন্য স্ট্যাটাসে পরী তার ওপর গায়ে হাত তোলার মতো অভিযোগও করেন স্বামী রাজের বিরুদ্ধে।
এর আগে, রাজের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ তুলে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন নায়িকা। গত বছরের শেষ দিনে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন পরীমণি।
তবে এ মুহূর্তে তিনি ব্যস্ত আছেন ২০শে জানুয়ারি সিয়ামের সঙ্গে অভিনীত ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমাটির প্রচারণা নিয়ে।