বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে আজ উপনির্বাচন হচ্ছে। বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি জোরালোভাবে দাবি করছেন, বগুড়া-৪ অর্থাৎ নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে তিনি সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন।
বগুড়া সদর আসনে হিরো আলম পেলেন ১৫ ভোট! এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি সকালের দিকে সদর আসনে ছিলাম। সেখানে দেখেছি নানা বিশৃঙ্খলা।কিন্তু আমি দুপুরের পর নন্দীগ্রাম-কাহালু এলাকায় চলে এসেছি।
এখানে দেখেছি সব মানুষ আমাকে বলছে তারা একতারা মার্কায় ভোট দিয়েছে। যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই সবাই আমাকে বলছে আমি তোমাকেই একতারা মার্কায় ভোট দিয়েছি।’
এই আসনে সুন্দর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি দেখেছি নন্দীগ্রাম-কাহালু এলাকায় সুন্দরভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর মানুষ যেভাবে ভোট দিচ্ছে, যদি ঠিকঠাক ভোট কালেক্ট করা হয় তাহলে এই এলাকায় এমপি হচ্ছি আমি।’
ইভিএম বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে এবারে আমি প্রথম ভোট করতেছি। তাই এ বিষয়ে এখন মন্তব্য করতে পারব না। আমি এ বিষয়ে ভোটের পরে মন্তব্য করব।’
বগুড়া-৪ অর্থাৎ নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনের কালিশ পুনাইল মাদরাসা কেন্দ্রের ফলাফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে, সেখানে দেখা গেছে হিরো আলম ২১০ ভোট পেয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদের তানসেন। তানসেন পেয়েছেন ১২৮ ভোট।
বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলা) ও বগুড়া-৬ (সদর উপজেলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রেকর্ড গড়েছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। অতীতে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বগুড়ায় কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী একই সঙ্গে দুই আসনে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপির সাংসদগণ পদত্যাগ করায় বগুড়ার দুটি আসন শূন্য হয়ে পড়ে। এই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর থেকেই আলোচিত হয়ে আসছিলেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
প্রথমে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করেন হিরো আলম। পরে চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগ থেকে পেতে। কোনো দল থেকে না পেয়ে অবশেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।