গোপালগঞ্জে বাবা-মায়ের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন সংগীতশিল্পী খালিদ

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম

আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ১৮ মার্চ গ্রিন রোডের বাসায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যান।

‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’ খ্যাত এই চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট কণ্ঠশিল্পী গায়ক খালিদকে গোপালগঞ্জ শহরের নয়া গোরস্থানে তাঁর বাবা-মায়ের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন। সোমাবার রাতেই তার নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই গায়ককে।

জানা যায়, রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায় খালিদের নিথর দেহ।
এর আগে সোমবার রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় শিল্প, সংস্কৃতিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

এসময় খালিদের ভগ্নিপতি জানান, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহর নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে হবে খালিদের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শহরের গেটপাড়ার গোরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

তিনি আরও জানান, খালিদের স্ত্রী এবং ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে। তারা আসবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ধর্মীয় মত অনুসারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দাফন সম্পন্ন করাটাই শ্রেয়, সবার মতামত এমনটাই। তাই মঙ্গলবার দুপুরেই খালিদের দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে খালিদের বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুত করছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যার পর গ্রিন রোডের বাসায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন খালিদ। এরপর দ্রুত গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর সাড়ে ৭টায় খালিদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। জানানো হয়, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা গেছেন তিনি।

মৃত্যুকালে ‘চাইম’ ব্যান্ডের এই ভোকালের বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তার গাওয়া গানগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পায় সরলতার প্রতিমা, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে।

বিআরইউ