বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। দাফনের সময় সঙ্গে ছিলেন ভাই হামিন আহমেদ ও তাহসিন আহমেদসহ শাফিনের স্বজন এবং মাইলস সদস্যরা।
এর আগে জোহরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে শাফিনের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শাফিনকে শেষবারের মত দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন গীতিকার, সুরকার প্রিন্স মাহমুদ, সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়া, আঁখি আলমগীর, পলাশ, গীতিকার কবির বকুলসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে। এ ছাড়া শাফিন আহমেদের বন্ধুবান্ধব, স্বজন, ভক্তরা জানাজায় অংশ নেন এবং তাকে শ্রদ্ধা জানান।
এরপরে বনানী কবরস্থানে বাবা সংগীতগুরু কমল দাশগুপ্তর কবরে সমাহিত করা হয় শাফিন আহমেদকে। এর পাশেই রয়েছে শাফিনের মা কিংবদন্তি নজরুলশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবর।
গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্তরা হাসপাতালে শাফিন আহমেদের প্রয়াণ ঘটে। এরপর সেখানেই শাফিনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মৃত্যুর চার দিন পর গতকাল ২৯ জুলাই ঢাকায় তার মরদেহ আনা হয়।
এর আগে প্রবাসীদের গান শোনোনোর জন্য গত ৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। ২০ জুলাই ভার্জিনিয়ায় একটি কনসার্ট ছিল তার। কিন্তু এর আগেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এই গায়ক। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।
আরএস