বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ দুটি দল লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে বিপক্ষ দলটি ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলে। সম্প্রতি সেই গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ দাবি করছেন, এর সঙ্গে তারা জড়িত নন।
অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুও তাদেরই একজন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, হোয়াটসঅ্যাপের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে অ্যাড হওয়া প্রসঙ্গে আমার কিছু কথা। একটা গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছে ফোন নম্বর থাকলেই তিনি সেই গ্রুপে যাকে খুশি যতজন খুশি অ্যাড করতে পারেন। অনেক গ্রুপ আছে সেখান থেকে চাইলেও কেউ বের হতে পারে না। যদি অ্যাডমিন তাকে ডিলিট না করে।
গ্রুপে কখনও প্রবেশ করেননি দাবি করে বাবু আরও লিখেছেন, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে আমি কখনও প্রবেশ করিনি বা কে কি লিখছে আমি যদি ওখানে না দেখি আমি কি করে জানবো ওখানে কি লিখছে। ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা বা সমালোচনা করা ঠিক না।
এ পোস্ট করার পরে তোপের মুখে পড়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। কমেন্ট বক্সে এস এম মেহেদী আকরাম নামে একজন লিখেছেন, ‘নাটক কম কর পিও।’
তাহসিন ইসলাম লিখেছেন, ‘উহু মুরুব্বি, মিথ্যা কথা বইলেন না।’
মহিউদ্দিন আহমেদ লিখেছেন, ‘আপনি এখনও বাবুই রয়ে গেলেন আর বড় হলেন না।’
মোহাম্মদ জাফর নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘সাধু সেজে কোনো লাভ নেই।’
প্রসঙ্গত, ফাঁস হওয়া সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটিতে ছিলেন-
সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, রফিক (রজনীগন্ধা), সাবেক এমপি ফেরদৌস, রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তফা, বিজরী বরকতুল্লাহ, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, সুইটি, রওনক হাসান, মাসুদ পথিক, সাবেক এমপি আরাফাত, আশনা হাবীব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, উর্মিলা, মামুনুর রশিদ, খান জেহাদ, এবার্ট খান, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, আশরাফ কবীর, দীপান্বিতা মার্টিন, সাবেক এমপি হাসান মাহমুদ, সাইমন সাদিক, জুয়েল মাহমুদ, জায়েদ খান, হারুনুর রশিদ, ঝুনা চৌধুরী, লিয়াকত আলী লাকি, সৈয়দ আওলাদ, সাইদ খান, সাখাওয়াত মুন, স্মরণ সাহা, সায়েম সামাদ, শাকিল (দেশনাটক), শহীদ আলমগীর, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, সঙ্গীতা মেখাল, সৈয়দা শাহানুর, মো. শাহাদাত হোসেন, গুলজার, নাহিদ, মিলন, প্রণীল, এসএ হক অলীক, রুনি, রুবেল শঙ্কর, রাজিবুল ইসলাম রাজিব প্রমুখ।
আরএস